‘তারুণ্য দেখেছি ভাষা আন্দোলনে, মুক্তিযুদ্ধে এবং জুলাই বিপ্লবে’
Published: 17th, January 2025 GMT
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, “আমরা তারুণ্য দেখেছি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এবং ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবে।”
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীতে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫: পিঠা উৎসব’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ১৬ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক তানিয়া খান।
তারুণ্যের উৎসবকে স্বাগত জানিয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা বলেছেন, “আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। তরুণসমাজের যে আগ্রহ, উৎসাহ এবং অংশগ্রহণ, এজন্যই তো তারুণ্যের উৎসব। তারুণ্যের উৎসবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তরুণরা এবং বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে তারুণ্যের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে।”
তিনি আরো বলেন, “দেশ গড়ার কাজে তরুণসমাজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। আমি তাদের এই অংশগ্রহণকে স্বাগত জানাই। এই তারুণ্যের উৎসবের জন্যই দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা পর্যন্ত নানা কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। এই তারুণ্যের উৎসব সার্বিকভাবে দেশব্যাপী সফল হবে। তরুণসমাজের অংশগ্রহণে আমাদের দেশ আরো এগিয়ে যাবে।”
উপদেষ্টা পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং তাদের তৈরি করা পিঠা খেয়ে ধন্যবাদ জানান। পরে তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
ঢাকা/এএএম/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র ণ য র উৎসব
এছাড়াও পড়ুন:
মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবের মঞ্চে ‘ইংগিত’
মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবে ৬৩ জেলা হতে নির্বাচিত ১৬ নাটক নিয়ে ঢাকায় জাতীয় নাট্যশালায় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে উৎসবের শেষ দিনে (শুক্রবার) মঞ্চায়ন করা হয় নাটক ‘ইংগিত’।
‘ইংগিত’র নাট্য ভাবনা, পরিকল্পনা, আলো ও নির্দেশনায় ছিলেন সুবীর মহাজন। সহকারী নির্দেশনায় আছাদ বিন রহমান ও পরিবেশনায় ছিল বান্দরবান পার্বত্য জেলা শিল্পকলা একাডেমি। বান্দরবানের বসবাসরত বিভিন্ন ভাষার জনগোষ্ঠীর মানুষ এত অংশ নেন।
নাটকের গল্পে দেখা যায়, পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তরুণদের বড় একটি অংশ হতাশায় নিমজ্জিত। অথচ তারুণ্যই বারবার পথ খুঁজে দিয়েছে। বহুভাষার মানুষের জেলা বান্দরবানের এক তরুণ বর্তমানের নানা পারিপার্শ্বিকতায় ক্লান্ত হয়ে যখন ঘুমের রাজ্যে, ঠিক তখন তার চোখ জুড়ে ফিরে আসে শৈশব-কৈশোর। ক্লান্ত শরীর তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে বাস্তবে। স্বপ্নের ঘোরে সে ঘুরে বেড়ায় প্রকৃতির রাজ্য বান্দরবানে, যেখানে রয়েছে জীবন ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় বিশাল ভাণ্ডার। ঘুম তাকে ফিরিয়ে দেয় সোনালী সময়। যখন বর্তমানে ফিরে আসে নানা জটিলতায় আবদ্ধ হয়ে পড়ে। সিস্টেম নামে এক জগদ্দল পাথর সরাতে চায় সে। পাহাড় আর সমতলকে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতার এক সুতায় মেলবন্ধন ঘটাতে যে বদ্ধ পরিকর।
১৫ দিনব্যাপী কর্মশালার মধ্যে দিয়ে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।