মার্কিন নির্মাতা ডেভিড লিঞ্চ মারা গেছেন। গত ১৫ জানুয়ারি লস অ্যাঞ্জেলেসে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেলিব্রেটি গসিপ সাইট টিএমজেড ডেভিডের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এ নির্মাতার পরিবারের এক সদস্য বলেন, “ডেভিড লিঞ্চ গত বুধবার তার মেয়ের বাড়িতে মারা গেছেন। লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পর মেয়ের বাড়িতেই ছিলেন তিনি।”

ডেভিড লিঞ্চের ভেরিফায়েড ফেসবুকে তার মৃত্যুর খবর জানিয়ে পোস্ট দিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। তাতে বলা হয়েছে, “গভীর দুঃখের সঙ্গে ঘোষণা করছি, শিল্পী ডেভিড লিঞ্চ মারা গেছেন। এই সময়ে গোপনীয়তা রক্ষার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তার অনুপস্থিতি পৃথিবীতে বড় শূন্যতা তৈরি করেছে।”

আরো পড়ুন:

সত্যি কি দাবানলে পুড়েছে অস্কারের ট্রফি?

চুলের জেলের পেছনে খরচ কমান, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরকে মেল গিবসন

গত বছরের আগস্টে ডেভিড লিঞ্চ জানিয়েছিলেন, অনেক বছর ধরে ধূমপানের কারণে দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। তবে তার মৃত্যুর কোনো কারণ জানা যায়নি।

সব মাধ্যমে কাজ করেছেন প্রখ্যাত এই নির্মাতা। তার নির্মিত পরাবাস্তববাদী কাল্ট ক্ল্যাসিক সিনেমা ‘মুলহোল্যান্ড ড্রাইভ’, ‘টুইন পিকস’-এর জন্য অধিক পরিচিত। তার উল্লেখযোগ্য অন্য কাজগুলো হলো— ‘ব্লু ভেলভেট’, ‘দ্য এলিফ্যান্ট ম্যান’, ‘লস্ট হাইওয়ে’ প্রভৃতি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ