ঘোড়াশালে ট্রাক-বাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষ, আহত ৮
Published: 17th, January 2025 GMT
নরসিংদীর পলাশে দুই ট্রাক ও বাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা আঞ্চলিক সড়কের ভাগদী কদমতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ট্রাক চালক শরিয়তপুরের আব্দুল সাত্তার গাজীর ছেলে সালাউদ্দিন (৩০), বাস চালক দেবীগঞ্জ নতুন বন্দর এলাকার শামসুল হকের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩০), বাস যাত্রী পঞ্চগড়ের হাডিবাসা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে জজমিয়া (৩০), নীলফামারীর মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে রনি (২৯), দেবীগঞ্জের বড়তলী গ্রামের আজিজ মিয়ার ছেলে রফিক (২৮), সোনাহার এলাকার আব্দুল সাত্তারের ছেলে সেলিম মিয়া (২৮), নীলফামারীর নুর মোহাম্মদের ছেলে সুমন ইসলাম (৩০) ও রংপুরের পীরগঞ্জ এলাকার শশী চন্দ্র ধরের ছেলে সুকুমার (৩০)।
পলাশ ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে ঘোড়াশালের পাঁচদোনা এলাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাক ও বিপরীত পাশ থেকে আসা দোয়েল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ওভারটেক করতে গিয়ে সংঘর্ষ হয়। এসময় দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকের সঙ্গে আরও একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হয় চালকসহ আট যাত্রী। পরে এ সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পলাশ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
পলাশ ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত স্টেশন অফিসার মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন আহত স ঘর ষ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপ বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ
আজ বিশ্ব দেখেছে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাল্টা (রেসিপ্রোকাল) শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন, যা দীর্ঘ দিন ধরে GATT/WTO কাঠামোর মূল স্তম্ভ হিসেবে থাকা ‘সর্বাধিক অনুকূল দেশ’ (MFN) নীতির সমাপ্তি বা অন্তত উল্লেখযোগ্য রূপান্তরের সংকেত বহন করছে। এই নীতির ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকার, কারণ বিভিন্ন মার্কিন বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর ভিন্ন ভিন্ন পারস্পরিক শুল্ক হার আরোপিত হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট পণ্যের ক্যাটেগরির ওপর শুল্কের হারও পরিবর্তিত হচ্ছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বিজয়ী ও পরাজিত দেশ নির্ধারণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিবেশ আরও অস্থির ও অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই পরিবর্তন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে, কারণ তারা এমন এক অনিশ্চিত ব্যবস্থায় কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। এই নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে, বাংলাদেশকে তার অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য নীতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে, বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার সংস্কারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং মূল বাণিজ্যিক অংশীদারদের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে হবে, যাতে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় তার অবস্থান নিরাপদ থাকে।