নরসিংদীর পলাশে দুই ট্রাক ও বাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা আঞ্চলিক সড়কের ভাগদী কদমতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- ট্রাক চালক শরিয়তপুরের আব্দুল সাত্তার গাজীর ছেলে সালাউদ্দিন (৩০), বাস চালক দেবীগঞ্জ নতুন বন্দর এলাকার শামসুল হকের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩০), বাস যাত্রী পঞ্চগড়ের হাডিবাসা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে জজমিয়া (৩০), নীলফামারীর মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে রনি (২৯), দেবীগঞ্জের বড়তলী গ্রামের আজিজ মিয়ার ছেলে রফিক (২৮), সোনাহার এলাকার আব্দুল সাত্তারের ছেলে সেলিম মিয়া (২৮), নীলফামারীর নুর মোহাম্মদের ছেলে সুমন ইসলাম (৩০) ও রংপুরের পীরগঞ্জ এলাকার শশী চন্দ্র ধরের ছেলে সুকুমার (৩০)।

পলাশ ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে ঘোড়াশালের পাঁচদোনা এলাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাক ও বিপরীত পাশ থেকে আসা দোয়েল পরিবহনের একটি  যাত্রীবাহী বাস ওভারটেক করতে গিয়ে সংঘর্ষ হয়। এসময় দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকের সঙ্গে আরও একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হয় চালকসহ আট যাত্রী। পরে এ সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পলাশ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

পলাশ ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত স্টেশন অফিসার মো.

বেলাল আহমেদ জানান, ট্রাক ও বাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ট্রাক চালক সালাউদ্দিন ও বাস চালক আশরাফুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়াও বাসের আরও ৬ যাত্রীর অবস্থাও গুরুতর। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন আহত স ঘর ষ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়েবমেট্রিক্স র‍্যাঙ্কিংয়ে দেশসেরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষা ও গবেষণাবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ওয়েবমেট্রিক্সের র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। গত ২৭ জানুয়ারি প্রকাশিত এ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) পেছনে ফেলেছে রাবি।

প্রতিবছরের মতো এবারও দুই শতাধিক দেশের ৩১ হাজারের বেশি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিং, ২০২৫ (জানুয়ারি) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়েবমেট্রিক্স।

এই র‍্যাঙ্কিং প্রণয়নে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষণ পদ্ধতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রভাব, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক প্রাসঙ্গিকতাসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ভূমিকা বিবেচনা করে স্পেনের মাদ্রিদভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওয়েবমেট্রিক্স। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ছাড়াও তাদের গবেষক ও প্রবন্ধ বিবেচনায় নিয়ে এ তালিকা তৈরি করা হয়।

ওয়েবমেট্রিক্সের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১ হাজার ৪২২তম। ২০২৪ সালের প্রথম সংস্করণে (জানুয়ারি) রাবির দেশীয় অবস্থান ছিল তৃতীয় এবং দ্বিতীয় সংস্করণে (জুলাই) এক ধাপ এগিয়ে অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। এ বছর আরো এক ধাপ এগিয়ে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে, শীর্ষ অবস্থান থেকে অষ্টমে নেমেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যার বৈশ্বিক অবস্থান ১ হাজার ৯৯৫তম।

বাংলাদেশের শীর্ষ বিদ্যালয়ের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে বুয়েট (বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং ১৪৭৪), তৃতীয় অবস্থানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় (বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং ১৭৭০), চতুর্থ অবস্থানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং ১৭৮৩), পঞ্চম অবস্থানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং ১৮১৮), ষষ্ঠ স্থানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং ১৯৪২), সপ্তম স্থানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং ১৯৭০) এবং অষ্টম স্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং ১৯৯৫)। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং ২২৮৭) নবম স্থানে এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং ২৩৬৭) দশম স্থানে আছে এ র‌্যাঙ্কিংয়ে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেছেন, “এ অর্জন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আমরা আমাদের গবেষকদের অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছি এবং তারাও সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে গবেষণাকর্ম করছেন। এজন্যই আমাদের সফলতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা আমাদের গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির চেষ্টা করছি এবং সবাইকে গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি। আশা করি, আমরা সামনের দিকে আরো ভালো করব।”

রাবির উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেছেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞ। তবে, আমরা যেন এ সাফল্যে আত্মতুষ্টিতে ভুগে স্থবির না হয়ে যাই। আমাদের সামনে আরো ভালো করার সুযোগ রয়েছে এবং আমরা সে লক্ষ্যেই এগিয়ে যাব।”

তিনি আরো বলেন, “আমি সব সময় বলে আসছি, আমাদের গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি। ন্যূনতম বরাদ্দ অন্তত দ্বিগুণ করা উচিত, যাতে আমরা উন্নত গবেষণা করতে পারি এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরো ভালো অবস্থান অর্জন করতে সক্ষম হই।”

ঢাকা/ফাহিম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ