হাসিনার ‘ভারতীয় নাগরিকত্ব’ প্রসঙ্গে যা জানাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
Published: 17th, January 2025 GMT
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন কি না সে সম্পর্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে কোনো তথ্য নেই। সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন কি না সে সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। হাসিনার বর্তমান স্ট্যাটাস কী হবে তা ভারত সরকারের এখতিয়ারাধীন।
গত বছরের আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে ভারতে বসবাস করছেন। ভারতের সাথে সকল চুক্তি পর্যালোচনার দাবির বিষয়ে রফিকুল আলম স্পষ্ট করে বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলো করেছে। যদি কোনো মন্ত্রণালয় বা সংস্থা পর্যালোচনার প্রয়োজন মনে করে, তবে তারা সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারে।
এক প্রশ্নের উত্তরে রফিকুল আলম বলেন, ভারতে বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনারের নিয়োগের বিষয়ে ঢাকা ভারতের জবাবের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা ভারতের জবাবের অপেক্ষা করছি। আমার মনে হয় না এতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লাগছে। কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই, তবে সাধারণত এতে ৩ থেকে ৪ মাস লাগে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’