কম জিতেও বেশি পারিশ্রমিক শোধ করেছে ঢাকা
Published: 17th, January 2025 GMT
বিপিএল শুরুর আগে পারিশ্রমিক নিয়ে নিয়ম করে দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দেশি-বিদেশি খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের ৫০ শতাংশ অর্থ দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। টুর্নামেন্ট চলাকালীন বাকি ২৫ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বাকি ২৫ শতাংশ অর্থ দেওয়ার কথা টুর্নামেন্ট শেষে।
কিন্তু বিপিএলের অর্ধেক ম্যাচ হয়ে গেলেও বেশির ভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজি ২৫ শতাংশের বেশি অর্থ পরিশোধ করেনি। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেবল ঢাকা ক্যাপিটাল। টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, ৮ ম্যাচে একটি জিতলেও প্রথম কিস্তির ৫০ শতাংশ টাকা পরিশোধ করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
ফরচুন বরিশাল ও রংপুর রাইডার্স ২৫ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করেছে। তবে সম্মানী নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি দুটির খেলোয়াড়দের দুশ্চিন্তা নেই। দল দুটির সবকিছু ঠিকঠাক চলছে। ফরচুন সুজ ও বসুন্ধরা গ্রুপের টাকা দেওয়ার সক্ষমতাও রয়েছে।
খুলনা টাইগার্সও পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। ক্রিকেটারদের অর্থ পরিশোধ নিয়ে সুনাম আছে তাদের। তবে এবার এখন পর্যন্ত এই ফ্র্যাঞ্চাইজিও ২৫ শতাংশের বেশি অর্থ এখানো দেয়নি।
খেলোয়াড়রা অনুশীলন বয়কট করায় দুর্বার রাজশাহী ২৫ শতাংশ নগদ অর্থ ক্রিকেটারদের দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ১৯ তারিখে আরও ২৫ শতাংশ অর্থের চেক প্রদান করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে দুর্বার রাজশাহী আস্থা অর্জনের জায়গায় আসতে পারেনি।
রাজশাহীর অধিনায়ক বিজয় তাই বলেন, ‘এভাবে খেলা যায় না। টাকা কখন পাব, সে নিশ্চয়তা নেই। ধরে নিলাম আজ (গতকাল) ৫০ শতাংশ টাকা দেবে। বাকি ৫০ শতাংশের কী হবে? আমি তো ঢাকা ফিরে গিয়েছিলাম। সভাপতি স্যার বলাতে এখানে এসেছি।’
রাজশাহীর অর্থ পরিশোধের এই সংকট থেকে পুরোপুরি উত্তরণ না হলে রাজশাহীর মালিকানা বিসিবি নিজেদের হাতে নিতে পারে বলে শোনা গেছে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কাছে মেসেজে জানতে চাওয়া হয়েছিল মালিকানা বিসিবি নিচ্ছে কিনা।
তিনি উত্তরে লিখেছেন– ‘এখনও বলার সময় হয়নি।’ ফাহিমের কথায় একটা বার্তা রয়েছে, ভ্যালেন্টাইন গ্রুপ এগিয়ে না এলে বিসিবি দেখবে। রাজশাহী দলের এমনটা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। সপ্তম ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে তারা বিপিএলে এসেছে বিসিবি সভাপতির অনুরোধে। শেষমেশ খেলোয়াড়দের টাকা পরিশোধের দায়িত্ব বোর্ডকেই নিতে হতে পারে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল ল টন দ স ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ