পাউবোর পাইপ চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
Published: 17th, January 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড্রেজিং কাজে ব্যবহৃত লোহার পাইপ চুরির মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে বিকেলে ৩টার দিকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া এলাকার রমজানের ছেলে রেজাউল হক (৩৮), ইদ্রিসের ছেলে মমিনুল ইসলাম সজিব (৩৭) ও আইনুল শেখের ছেলে পাপ্পু শেখ (২৫)।
পুলিশ জানায়, উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া ব্রিজঘাট এলাকায় গড়াই নদীর ড্রেজিং কাজে ব্যবহৃত কয়েক লাখ টাকার লোহার পাইপ রাখা ছিল। সেগুলো গত বুধবার রাতে গ্যাসের সাহায্যে কেটে চুরি করছিল একটি চক্র। এ সময় খবর পেয়ে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। জব্দ করা হয় পাইপ ও গ্যাসের সিলিন্ডার।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ৯ জনকে আসামি করে থানায় একটি চুরির মামলা করেন পাউবোর এক কর্মকর্তা। উক্ত মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের আসামি করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে কুমারখালী থানার (ওসি) মো.
ঢাকা/কাঞ্চন/ইমন
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘনায় ‘বালুখোকো’ কানা জহির-মিজি গ্রুপের গোলাগুলি, নিহত দুই
চাঁদপুর-মুন্সীগঞ্জ সীমান্ত এলাকার মেঘনা নদীতে বালু মহাল ও বালু উত্তোলনের দ্বন্দ্বের জের ধরে বালুখেকো কানা জহির ও কিবরিয়া মিজি গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ বলছে, চাঁদপুরের মতলবের উত্তর থানার মোহনপুর চরে মেঘনা নদীর মুখে ড্রেজার ও বাল্কহেড নোঙর করা ছিল। ওই ড্রেজার ও বাল্কহেডে বালুখেকো কানা জহিরের লোকজন অবস্থান নেয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্পিডবোটে আরেক বালুখেকো কিবরিয়া মিজির লোকজন এসে তাদের লক্ষ্য করে আকস্মিক গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় কানা জহিরের লোকজন ড্রেজার ও বাল্কহেড থেকে পাল্টা গুলি ছুড়লে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ রিফাত খান (২৮) ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর শুনে হাসপাতালে ভিড় করেন তাদের স্বজনরা।
গুলিবিদ্ধ আইয়ুব আলীর অবস্থা গুরুতর, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রিফাতের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উপজেলায় এবং রাসেলের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ সদরের ভাষানচর এলাকায়।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিল্লাল হোসেন বলেন, ঘটনাটি চাঁদপুর-মোহনপুর এলাকার মেঘনা নদীতে ঘটেছে। বালু মহালের দ্বন্দ্বের জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। গুলিবিদ্ধদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে এনে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে এসে মৃতদেহ হেফাজতে নেয়।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাসুদুর রহমান রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা যান। নিহত দুজনের মধ্যে একজনের বুকের ডান পাশে ও অন্যজনের বুকের বাঁ পাশে গুলির চিহ্ন রয়েছে। আহত একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/রতন/রাসেল