রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) সেন্ট্রাল লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারে শহীদ আবু সাঈদ কর্ণারের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এই কর্ণারের উদ্বোধন করেন বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী।

এ সময় তার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ট্রেজারার প্রফেসর এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ঢাবি বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড.

মাহমুদ ওসমান ইমাম, বেরোবি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. ইলিয়াছ প্রামানিক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. তানজিউল ইসলাম, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের গ্রন্থাগারিক ড. মো. মনিরুজ্জামান, উপ-গ্রন্থাগারিক মো. মামদুদুর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনকালে বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী তার বক্তব্যে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে শহীদ আবু সাঈদ কর্ণার সৃষ্টির মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের বীরত্বগাঁথা ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আগামী দিনে লাইব্রেরিতে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা শহীদ আবু সাঈদের অবদান সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে পারবে।” 

এ সময় ঢাবি ট্রেজারার প্রফেসর এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “জুলাই বিপ্লবের শহীদ আবু সাঈদের রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারলে আবু সাঈদসহ সকল শহীদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে। দেশ ও সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।”

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত বছরের জুলাইয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদ।

ঢাকা/সিয়াম/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ণ র

এছাড়াও পড়ুন:

এমআইএস পড়ে ক্যারিয়ার

ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল সাবজেক্ট এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের একটি বিশেষ শাখা। সহজভাবে বলতে গেলে বাংলায় এর অর্থ হলো তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি। এমআইএস টার্মটির সঙ্গে সংযুক্ত অন্যান্য টার্ম হচ্ছে, ট্রানজেকশন প্রসেসিং সিস্টেম, ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেম, এক্সপার্ট সিস্টেম, এক্সিকিউটিভ ইনফরমেশন সিস্টেম।
এমআইএস পড়ার সুযোগ রয়েছে যেখানে:
এমআইএস প্রোগ্রামে পড়তে চাইলে এসএসসিতে যে কোনো বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে এইচএসসিতে বাণিজ্য বিভাগে ভর্তি হলে ভালো হয়। এ ছাড়া বিজ্ঞান বিভাগ ও মানবিক বিভাগের জন্য কিছু আসন বরাদ্দ থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ‘গ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। এ ছাড়া ‘ঘ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে গ্রুপ চেঞ্জ করে এমআইএস এ ভর্তি হওয়া যাবে। এমআইএস সাবজেক্ট মাত্র তিনটি সরকারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইলে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়া দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে পাঠদান করানো হয়।
যেসব বিষয় পড়ানো হয়:
এমআইএস একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি সাবজেক্ট (কারণ এখানে বিবিএর পাশাপাশি সিএসইর বেশকিছু কোর্স পড়ানো হয়) এমআইএস এ যা যা পড়ানো হয় তার মধ্যে রয়েছে– 
Computing Fundamentals, Bangladesh Studies, General Science & Environment, Business and ICTlaws, Advanced Information Systems, Operations Management, Programming FundamentalsInformation Systems Security, Programming for IS (python), Database Management, Management Accounting, Data Communication 
and Networking, Applied Database (Oracle), IT Investment Management,Management of Telecommunications,Web design Development, Artificial Intelligence, Strategic Management & Information Systems, Fundamentals of Management Information Systems কোর্সসহ মোট ১৪১ ক্রেডিটের কোর্স পড়ানো হয়। এর পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অন্যান্য বিভাগের মতো কিছু কোর্স পড়ানো হয়। ইউরোপ, আমেরিকাসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে এই বিষয়ে পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে।
এমআইএস গ্র্যাজুয়েটদের কর্মক্ষেত্র:
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজের সুযোগ রয়েছে এবং আইটি সেক্টরেও এর চাহিদা অপরিসীম। আধুনিক যুগে ব্যবসায় টিকে থাকতে হলে ব্যবসায় শিক্ষার জ্ঞানের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হয়, যা কেবল এমআইএস বিভাগে রয়েছে। সে কারণে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের চেয়ে এমআইএস বিভাগের শিক্ষার্থীরা জ্ঞান-বিজ্ঞানে তুলনামূলক এগিয়ে থাকায় প্রচুর পরিমাণে করপোরেট চাকরির সুযোগ রয়েছে। ব্যাংক, বিসিএসসহ অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে এমআইএস কার্যকরী ও যুগোপযোগী সাবজেক্ট। তাই সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরিতে ভালো করার সুযোগ রয়েছে।v

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেতু কর্তৃপক্ষ নবম থেকে ২০তম গ্রেডে নেবে ৬৬ জন, আবেদনের সময় বাড়ল
  • এমআইএস পড়ে ক্যারিয়ার