হামাস শেষ মুহূর্তে চুক্তিতে পরিবর্তন আনতে চাইছে, এমন অভিযোগ তুলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনে মন্ত্রিসভার ভোট পিছিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় এই ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে, হামাস অভিযোগ নাকচ করে চুক্তির ব্যাপারে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে বৈঠকটি শুরুর নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগে নেতানিয়াহু হামাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘‘শেষ মুহূর্তের সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছে সংগঠনটি।’’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামাস ‘চুক্তির সকল বিষয়ে’ সম্মত না হওয়া পর্যন্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক আহ্বান করা হবে না।

এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘‘এমন একটি ‘চ্যালেঞ্জিং’ পরিস্থিতিতে এই বিলম্ব অপ্রত্যাশিত নয়। যুক্তরাষ্ট্র আত্মবিশ্বাসী যে চুক্তিটি রবিবার থেকে কার্যকর হবে এবং তারপর থেকে যুদ্ধবিরতি স্থায়িত্ব পাবে।’’

এদিকে, বুধবার চুক্তির ঘোষণার আসার পরও গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৮০ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই হামলার পর ভোট পেছানোর খবর এলো।

ঢাকা/নাসিম/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ