হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন আজ শুক্রবার। উদ্বোধনের পর বিভিন্ন কলেজের কার্যক্রম এই অস্থায়ী কার্যালয় থেকে শুরু হবে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে এ উপলক্ষে শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক ও সুধীজনের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড.

এএসএম আমানুল্লাহ। 

এ সময় তিনি বলেন, “শিগগিরই স্থায়ীভাবে আঞ্চলিক কার্যালয় করতে যাচ্ছি আমরা। এজন্য সাংবাদিক ও সুধীজনের সহযোগীতা প্রয়োজন।”

ভিসি বলেন, “বসে থাকলে চলবে না। উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে হবে। মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে উন্নত যোগাযোগের মাধ্যম শায়েস্তাগঞ্জে টেকনিক্যাল ও বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। আমি সব ধরনের সহযোগিতা করব। এখান থেকে দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠবে। তাহলে চাকরির পেছনে দৌড়াতে হবে না। চাকরি তাদের পেছনে ঘুরবে। সহজে কর্মসংস্থান তৈরি হবে।”   

তিনি বলেন, “দেশের নানা স্থানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য অনার্স-মাস্টার্স কলেজ করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে এইসব কলেজগুলোতে পড়ালেখা হয় না। শিক্ষকদের ঠিক মতো বেতন দেওয়া হয় না। এইসব কলেজের কার্যক্রম বন্ধ করা হবে।”

শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মঈনুল হাসান রতনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব হোম দাস, থানার ওসি দিলীপ কান্ত নাথ, শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গাজী গোলাম মোস্তুফা, পঞ্চাশ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নাছির উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক মো. মানিক মিয়া, বাহুবল অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রব শাহিন, সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ আশরাফ উদ্দিন মামুন, মো. শাহ হুমায়ূন কবীর, শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আ স ম আফজল আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন সাঁই, সহ-সভাপতি সৈয়দ আজিজুর রহমান ছয়ফুর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুমন, শাহ মোস্তুফা কামাল, মো. মহিবুর রহমান, মোহাম্মদ শফিক মিয়া, তোফায়েল আহমেদ মনির, শামীম আহমেদ, মো. শামীম চৌধুরী, উপজেলা সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল মুহিন শিপন, সাংবাদিক অপু দাস, আব্দুস শহিদ, জনি আহমেদ, আজমান আলী, ইনজামামুল হক নাঈম, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শামছুল আলম রিপন, সাংস্কৃতিক কর্মী জিতু আহমেদ মাখন, অ্যাডভোকেট অলিউর রহমান প্রমুখ। 

এছাড়া বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষকমণ্ডলী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালকবৃন্দ ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে প্রধান অতিথি ভিসি অধ্যাপক ড. এএসএম আমানুল্লাহকে ক্রেস্ট প্রদান করে সম্মাননা জানানো হয়।

ঢাকা/মামুন/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন কল জ র আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ