মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ, এড়িয়ে চলবেন ঢাকার যেসব সড়ক
Published: 17th, January 2025 GMT
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আজ শুক্রবার। পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টায়, চলবে সকাল ১১টা পর্যন্ত। দেশের ১৯টি পরীক্ষাকেন্দ্রের একাধিক ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে পরীক্ষা।
এ বছর মেডিকেলে ভর্তির জন্য আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৬১টি। কোটাসহ মেডিকেলে আসন রয়েছে ৫ হাজার ৩৮০টি। এ হিসাবে এ বছর প্রতিটি আসনের জন্য ২৫ জন (২৫ দশমিক ১৪) পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দেবেন। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একই আসনের জন্য ১ লাখ ৪ হাজার ৪৪ শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজগুলোয় ভর্তির জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই হিসাবে গত বছর একটি আসনের জন্য ১৯ দশমিক ৩৪ শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। এ বছর আসনপ্রতি ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বী পরীক্ষার্থী বেড়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে মেডিকেল কলেজ রয়েছে ১১০টি। এর মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজ ৩৭টি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ৬৭টি। এ ছাড়া একটি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ ও পাঁচটি বেসরকারি আর্মি মেডিকেল কলেজ রয়েছে।
সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে হয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে। ভালো কলেজে ভর্তি হন তালিকার প্রথমে থাকা শিক্ষার্থীরা। সরকারিতে ৫ হাজার ৩৮০ ও বেসরকারিতে ৬ হাজার ২৯৫ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।
আজ এড়িয়ে চলবেন ঢাকার যেসব সড়ক
মেডিকেল পরীক্ষা উপলক্ষে রাজধানীর সড়কে গাড়ির আধিক্য থাকবে। ফলে সংশ্লিষ্ট সড়কগুলো জনসাধারণ কর্তৃক যথাসম্ভব পরিহার করার জন্য অনুরোধ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপির এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ করা হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০টায় ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা একযোগে ১৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ১টি ডেন্টাল কলেজসহ ১৯টি কেন্দ্রের নির্ধারিত স্থানে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় মোট ১৬টি ভেন্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন, বাণিজ্য অনুষদ ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস), ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ (বুয়েট ক্যাম্পাস), বেগম বদরুন্নেছা সরকারি কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ (নিউ বেইলি রোড), সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ (নিউ বেইলি রোড), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আগারগাঁও), ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ (আগারগাঁও), সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ (মিরপুর) এবং সরকারি তিতুমীর কলেজে (মহাখালী) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষা উপলক্ষে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াতের সড়কসমূহ, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েট–সংলগ্ন সড়ক, বেইলি রোড, মগবাজার-কাকরাইল সড়ক, নিউমার্কেট-আজিমপুর সড়ক, রোকেয়া সরণি, মিরপুর বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ–সংলগ্ন সড়কে গাড়ির আধিক্য হবে বিধায় উক্ত সড়কসমূহ জনসাধারণ কর্তৃক যথাসম্ভব পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ ব সরক র পর ক ষ র জন য আসন র
এছাড়াও পড়ুন:
সংবিধান অর্থবহ করতে বিচার আরও সহজলভ্য করতে হবে: প্রধান বিচারপতি
দেশ-জাতি নির্বিশেষে সাধারণ নাগরিকের জীবনে সংবিধানকে আরও কার্যকর ও অর্থবহ করে তুলতে হলে বিচার প্রক্রিয়াকে আরও সহজলভ্য, স্বচ্ছ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শুক্রবার ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতের ৬৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই আয়োজন শুধু একটি ঐতিহাসিক উপলক্ষ নয়, বরং এটি সাংবিধানিক আদর্শ ও ন্যায়বিচার রক্ষার প্রতিশ্রুতির একটি প্রতীকী উদযাপন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের সাংবিধানিক পথচলা ভিন্ন ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠলেও দুই দেশের অভিন্ন লক্ষ্য ন্যায়বিচার, মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রধান বিচারপ্রতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের উচ্চ আদালত বিভিন্ন স্বপ্রণোদিত উদ্যোগের পাশাপাশি জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে, তা বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তিনি বলেন, বর্তমান যুগে সাধারণ মানুষের অধিকারের সুরক্ষায় সাংবিধানিক আদালতগুলোর আরও বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে, জলবায়ু ন্যায়বিচার, ডিজিটাল অধিকার ও তথ্য সুরক্ষা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আন্তঃদেশীয় বৈষম্য মোকাবিলায় বিশ্বের প্রতিটি দেশে এমন একটি ন্যায়বিচার কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা জরুরি- যা একদিকে নিজস্ব বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে, তেমনই বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায়ও প্রাসঙ্গিক ভূমিকা পালন করবে।
প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে তুরস্কের সাংবিধানিক আদালতের প্রতি আমন্ত্রণ ও আতিথেয়তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও গভীর করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।