নরসিংদীতে ডিস ও ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আধিপত্যের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মনজু মিয়া (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এসময় বখতিয়ার নামে আরও একজন আহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে মাধবদী থানার শেখেরচর-বাবুরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মনজু মিয়া মাধবদী থানার পৌলাণপুর এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। আহত বখতিয়ার মেহেরপাড়া ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ও যুবদল নেতা ইফতেখার আলমের ছোট ভাই।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, এলাকায় ডিস, ইন্টারনেট ও ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মেহেরপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন ও একই ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি ইফতেখার আলম বাবলা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে তিনদিন আগে ইফতেখারের ছোট ভাই জ্যোতিকে মারধর করে আকরাম ও তার সহযোগীরা। এই জেরে বৃহস্পতিবার রাতে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ইফতেখার গ্রুপের ডিস ব্যবসার কর্মী মনজুরের মৃত্যু হয়। এসময় আহত হন তাঁতীদল নেতা বখতিয়ার।

নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার মো.

আব্দুল হান্নান বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”

ঢাকা/হৃদয়/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইফত খ র

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় কিশোর গ্যাং জিনিয়াস গ্রুপের ছুরিকাঘাতে সুরুজ মিয়া আহত, আটক ১

ফতুল্লায় কিশোর গ্যাং জিনিয়াস গ্রুপের বিরুদ্ধে ট্রাক লুটের প্রতিবাদ করায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে। এসময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে রাম দা ছুরিসহ ফাহিম নামে ওই গ্রুপের একজনকে আটক করে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় ফতুল্লার মাহমুদপুর করিম মার্কেট এলাকায় এঘটনা ঘটে।

জানাযায়, বুধবার রাতে কিশোর গ্যাং জিনিয়াস গ্রুপের রিয়াজ দলবল নিয়ে ফতুল্লার মাহমুদপুর করিম মার্কেট এলাকায় একটি নির্মানাধীন ভবনের সামনে থেকে পাথর ভর্তি ট্রাক ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় ট্রাক চালকের ডাক চিৎকারের আশপাশের লোকজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও এগিয়ে আসে।

এসময় কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসীরা ট্রাক ছেড়ে দিয়ে উপস্থিত লোকজনদের চলে যেতে বলেন নয়তো কুপিয়ে সবাইকে টুকরো করে হত্যার হুমকি দেয়। তখন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে সুরুজ মিয়া নামে একজন প্রতিবাদ করেন। এতে সন্ত্রাসীরা তার উপর ফুঁেস উঠে এলোপাথারী মারধর করে মাথায় ও পিঠে ছুরিকাঘাত করেন।

তখন এলাকাবাসী তাদের ধাওয়ার করে একজনকে রাম দা ও ছুরিসহ আটক করেন। অন্যরা পালিয়ে যায়। এরপর আটককৃতকে গুপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেন এবং আহত সুরুজ মিয়াকে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।

স্থানীয়রা জানান, জিনিয়াস গ্রুপের লিডার রিয়াজ তার সহযোগী শুভ, হাসান, সোহান, সোহাগ, বাবু, মাইন উদ্দিন, ফাহিম, জাকির ও নূর মোহাম্মদ নাঈম সহ আরো ২০/৩০ জন। তাদের বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছর হবে।

তারা সাইনবোর্ড, মাহমুদপুর, কদমতলী, ডেমরা, সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়, মৌচাক ও তার আশপাশের এলাকায় ছিনতাই ডাকাতি ও চাঁদাবাজি করেন প্রকাশ্যে। দীর্ঘদিন ধরে তারা অপরাধ কর্মকান্ডে বেপরোয়া। কোন অপরাধেই তারা ব্যর্থ হয়না এজন্য তাদের গ্রুপের নাম রেখেছেন জিনিয়াস গ্রুপ।

এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ একজনকে আটক করেছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন আছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফতুল্লায় কিশোর গ্যাং জিনিয়াস গ্রুপের ছুরিকাঘাতে সুরুজ মিয়া আহত, আটক ১
  • চট্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ১০
  • নড়াইলে প্রতিপক্ষের হামলায় বিএনপি নেতার হাত বিচ্ছিন্ন
  • মুন্সীগঞ্জে অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্যসহ ছিনতাইকারী বাবু মিজি আটক