মেকআপ এক ধরনের আর্ট। একজন চিত্রশিল্পী যেমন তার ক্যানভাস সাজিয়ে তোলেন মেকআপও তাই। মুখের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু মেকআপের নিচে প্রকৃত চেহারা ঢাকা পড়ে যায়। সিনেমার নায়িকাদের কথাই একবার ভাবুন, মেকআপ ছাড়া তাদের দেখাই মেলে না। এর বাইরেও অনেকেই নিয়মিত মেকআপ ব্যবহার করেন। যারা নিয়মিত মেকআপ করেন তারা টানা ১৫ দিন মেকআপ ব্যবহার না করলে ত্বকে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

ত্বক সতেজ দেখাবে: মেকআপ-এর প্রলেপে ত্বকে সাময়িক জেল্লা আসে ঠিকই কিন্তু ত্বক নিস্তেজ হয়ে পড়ে। মেকআপ ব্যবহারের ফলে ত্বকের ছোট ছোট ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ত্বকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছাতে সমস্যা হয়। এর ফলে ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ি দেখা দেয়।

ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমে: নিয়মিত মেকআপ ব্যবহারের ফলে ত্বকে তেলের নিঃসরণ বেড়ে যায়। মেকআপ ব্যবহারের ফলে ত্বক তেল চিটচিটে থাকে। টানা ১৫ দিন মেকআপ না করে দেখুন ত্বকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ কমে যাবে।

আরো পড়ুন:

আজ ‘স্পাইসি ফুড’ খাওয়ার দিন

যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য সারা আলী খানের পরামর্শ

চোখের সংক্রমণ হবে না: মেকআপের সহযোগী টুলসগুলোর মধ্যে মাশকারা, কাজল, আইলাইনার-এর অত্যধিক ব্যবহারে চোখের নানা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। এসব পণ্য ব্যবহারের ফলে চোখ জ্বালা করা, চোখ থেকে পানি পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো কিছু সমস্যা দেখা দেয়। কিছু দিন যদি চোখ সাজাতে এই প্রসাধনীর ব্যবহার বন্ধ রাখতে পারেন তাহলে চোখ সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পারে।

উল্লেখ্য, ফেমিনার তথ্য, মেকআপটি যদি আপনার ত্বক উপযোগী না হয় তাহলে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।  মেকআপ ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে মেকআপে প্রতিটি পণ্য ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। এতে করে ত্বকের ক্ষতি কিছুটা কমানো সম্ভব।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ