রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ল শতাধিক ঘর, শিশুর মৃত্যু
Published: 17th, January 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফের মোচনী নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক বসতঘর পুড়ে গেছে। আগুনে ৫ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পের জি-ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক নিহত শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ (যুগ্ম সচিব) আবদুল হান্নান জানান, হঠাৎ করেই ক্যাম্পে আগুন লাগে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন সম্পূর্ণভাবে নেভানো সম্ভব হয়।
১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোহাম্মদ কাউসার সিকদার বলেন, “ক্যাম্পের একটি ঘরে আকস্মিক আগুন লাগার পর মুহূর্তেই তা আশপাশের স্থাপনাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এপিবিএন পুলিশ ও স্থানীয় রোহিঙ্গারা আগুন নেভাতে সহযোগিতা করেন। টেকনাফ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে দ্রুত কাজ শুরু করে।”
অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ির সংখ্যা শতাধিক এবং এতে ক্যাম্পের শতশত মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ঢাকা/তারেকুর/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই
নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।
এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’
গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।