নিষিদ্ধ পলিথিন রোধে গত ৩ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত দেশব্যাপী ২৩৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এতে ৪৮০টি কারখানায় ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৭৫ হাজার ৮০২ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ ও সাতটি কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তর সারাদেশে ২ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এ সময়ে ১২৩টি অভিযানে ৩২৩ মামলায় ৫ কোটি ৫৮ লাখ ৩৬ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৭৬টি অবৈধ ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। ৩০টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা ও সাতটির কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচটি কারখানার ছয় ট্রাক সিসা-ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হয়। এতে ৯ মামলায় ১৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তিনটি কারখানার বৈদ্যুতিক মিটার জব্দ, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ১০০ টন পলিথিনসহ কারখানা সিলগালা করা হয়। একই সময়ে প্রায় ২ হাজার ৫ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।

গতকাল সাতক্ষীরা, নীলফামারী, মাদারীপুর ও গাজীপুরে আট মামলায় ১৭ লাখ টাকা জরিমানা আদায় এবং চারটি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। ময়মনসিংহে শব্দদূষণ রোধে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এতে একটি যানবাহনের চালককে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেন রেখে পালিয়েছে চালক, ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ স্টেশন সুপার

মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে রেখে চালক পালিয়েছে গেছেন। এতে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট নাজমুল হক খানকে দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে।

মাইলেজ সুবিধা পুনর্বহাল না করায় সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ (লোকোমাস্টার, গার্ড, টিটিই)। কর্মবিরতির মধ্যে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে ছেড়ে আসে ঢাকাগামী আন্তঃনগর হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন। পরে ট্রেন রেখে চালক পালিয়ে গেলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা নিরুপায় হয়ে স্টেশন সুপারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। 

হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী জুবায়ের আহমেদ বলেন, “ফুপা অসুস্থ, তাকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনে করে। কিন্তু ট্রেনটি মোহনগঞ্জ থেকে সকাল আটটায় ছেড়ে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে সাড়ে ১০টার দিকে পৌঁছালেও ঢাকার উদ্দেশ্য যাচ্ছে না। ট্রেনটি রেখে চালক পালিয়েছে, তাই সকলে স্টেশন সুপারকে অবরুদ্ধ করে রাখে।”

আরেক যাত্রী হাসানুল হক বলেন, “ঢাকা যাবে না ভালো কথা, তাহলে মোহনগঞ্জ থেকে ছাড়ল কেন?”

ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট নাজমুল হক খান বলেন, “যাত্রীরা আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। আমি উপায় না পেয়ে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়। টিকিটের টাকা ফেরত দিলে যাত্রীরা চলে যায়।”

ঢাকা/মিলন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ময়মনসিংহে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪
  • রাজধানীসহ ৭ জেলায় সংঘাত-বিক্ষোভ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২৭ 
  • রাজধানীসহ ৭ জেলায় সংঘাত-ভাঙচুর, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২৭ 
  • আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সাংবাদিকদের মর্যাদাও নিশ্চিত হবে না: কামাল আহমেদ
  • ট্রেন রেখে পালিয়েছে চালক, ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ স্টেশন সুপার
  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি পুনর্বিবেচনার দাবি