৪৮০ পলিথিন কারখানায় জরিমানা, সিলগালা ৭
Published: 17th, January 2025 GMT
নিষিদ্ধ পলিথিন রোধে গত ৩ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত দেশব্যাপী ২৩৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এতে ৪৮০টি কারখানায় ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৭৫ হাজার ৮০২ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ ও সাতটি কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তর সারাদেশে ২ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এ সময়ে ১২৩টি অভিযানে ৩২৩ মামলায় ৫ কোটি ৫৮ লাখ ৩৬ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৭৬টি অবৈধ ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। ৩০টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা ও সাতটির কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচটি কারখানার ছয় ট্রাক সিসা-ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হয়। এতে ৯ মামলায় ১৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তিনটি কারখানার বৈদ্যুতিক মিটার জব্দ, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ১০০ টন পলিথিনসহ কারখানা সিলগালা করা হয়। একই সময়ে প্রায় ২ হাজার ৫ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।
গতকাল সাতক্ষীরা, নীলফামারী, মাদারীপুর ও গাজীপুরে আট মামলায় ১৭ লাখ টাকা জরিমানা আদায় এবং চারটি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। ময়মনসিংহে শব্দদূষণ রোধে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এতে একটি যানবাহনের চালককে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাসরঘর থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে (১৬) এক যুবক ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত ওই যুবক গত বুধবার অন্য জায়গায় বিয়ে করেন। খবর পেয়ে কিশোরীর পরিবার বিষয়টি থানায় জানায়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাসরঘর থেকে অভিযুক্ত যুবককে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আজ শুক্রবার ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে অভিযুক্ত যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই যুবকের নাম মো. আবুল কালাম (২৬)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামে। ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়িও একই গ্রামে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারে দাবি, মেয়েটির মা ঢাকায় চাকরি করেন। মেয়ে তার বাবার কাছে গ্রামের বাড়িতে থাকে। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় প্রায়ই কিশোরীর বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন আবুল কালাম। চার মাস আগে দুজনের মধে৵ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন কালাম। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁর মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা বলে জানিয়েছেন। তাঁর সহজ-সরল মেয়েটার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, এ জন্য ওই যুবকের সর্বোচ্চ শাস্তি চান তিনি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে বাসরঘর থেকে আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীকেও আদালতে জবানবন্দির জন্য পাঠানো হয়েছে। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে হাসপাতালে পাঠানো হবে।