প্রশ্ন তুলেও বিএনপি রাজি জুলাই ঘোষণাপত্রে
Published: 17th, January 2025 GMT
অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির ঐক্য বজায় রেখে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ঘোষণাপত্র তৈরির দায়িত্ব কাউকে এখনও দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে নতুন খসড়া প্রণয়নে কমিটি গঠন করা হবে, নাকি সংবিধান সংস্কার কমিশনকে দেওয়া হবে দায়িত্ব– সেই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। সেটাও হবে সবার মতামতের ভিত্তিতে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টা ড.
শুরুতেই প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে ছাত্রদের উদ্যোগকে কেন সরকারের পক্ষ থেকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল– এর কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি ফের ঐক্য ধরে রাখার ওপরে জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি যতদিন আছি, একতা নিয়েই থাকব।’ ৩১ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ ডাকা হয়েছিল। পরে বিএনপির আপত্তি এবং সরকারের পরামর্শে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন ছাত্রনেতারা। তখন সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, সব দলের মতামত নিয়ে সরকার নিজেই এই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলো।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপির একমাত্র প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন আহমেদ অভ্যুত্থানের সাড়ে পাঁচ মাস পর ঘোষণাপত্রের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি জানতে চান, ঘোষণাপত্র কে দেবে? সরকার না ছাত্ররা? আর এই ঘোষণার রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক এবং আইনি গুরুত্ব কী রয়েছে? তবে বৈঠকে অংশ নেওয়া অন্য দলের প্রতিনিধিরা ঘোষণাপত্রের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এর পক্ষে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমার দল ঘোষণাপত্রের বিরুদ্ধে নয়। তবে ঘোষণাপত্রে সবার অবদানের স্বীকৃতি ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। সবচেয়ে জরুরি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলেনর মাধ্যমে যে ঐক্য গড়ে উঠেছে তা অটুট রাখতে হবে। ঘোষণাপত্র প্রণয়নের কারণে নিজেদের মতবিরোধে ঐক্য বিনষ্ট করা যাবে না।’
বৈঠকে চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ঘোষণাপত্রের প্রয়োজনীয়তা আছে। তবে অস্থির হওয়া যাবে না। ধীরে-সুস্থে করতে হবে। এটা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থাকবে। দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের জন্য এটা করতে হবে।’
সূত্র জানায়, আলোচনার এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সবার প্রতিনিধি নিয়ে ঘোষণাপত্রের একটি খসড়া কমিটি অথবা সংবিধান সংস্কার কমিশন ঘোষণাপত্রের খসড়া তৈরি করবে। এতেও সবার মত নিতে হবে।
বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে এ বৈঠক শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টার কিছু আগে শেষ হয়। দুই ধাপে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও একধাপেই শেষ হয়। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনডিএমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারাও। তবে আমন্ত্রণ পেয়েও অংশ নেননি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), সিপিবি, বাসদ, ১২ দলীয় জোট এবং জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটভুক্তরা।
তবে বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিদের প্রায় সবাই দপ্তরবিহীন উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে লক্ষ্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের অভিযোগ, দুপুর সাড়ে ১২টায় খসড়া পাঠিয়ে বিকেল ৪টার বৈঠকে অংশ নিতে বললে সরকারের আন্তরিকতা প্রকাশ পায় না। তারা বলেন, একেক দলকে একেক সময় খসড়া দেওয়া হয়েছে। বিএনপি, জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের খসড়া দেওয়া হয়েছে সোমবার। আবার অনেক দলকে দেওয়া হয়েছে বৈঠকের দিন সকালে। এত কম সময়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা ছাড়া কীভাবে মতামত দেওয়া সম্ভব– এমন প্রশ্নও তোলেন তারা।
এ সময় রাজনৈতিক নেতারা অভিযোগ করেন, সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সঠিক আচরণ করছে না। বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো থেকে শুরু করে খসড়া ঘোষণাপত্র বণ্টনেও সঠিক পন্থা নেওয়া হয়নি।
বৈঠকের শুরুতে ঐক্যবদ্ধভাবে জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরি না হলে উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘যখন নিজেরা নিজেরা কাজ করি, তখন দেখি একা পড়ে গেছি, আশপাশে কেউ নেই আপনারা। তখন একটু দুর্বল মনে করি। যখন সবাই একসঙ্গে কাজ করি, তখন মনের মধ্যে সাহস বাড়ে। একতাতেই আমাদের জন্ম। একতাতেই আমাদের শক্তি। এ শক্তি কাজে লাগিয়ে আমাদের জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরি করতে হবে। তা না হলে উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে করতে না পারলে দরকারও নেই। ঐক্যের মাধ্যমে করলে সবার মনে সাহস আসবে। সবাই ভাববে জেগে আছি এখনও, ভোঁতা হয়ে যাইনি। অনুভূতি এখনও চাঙা আছে। জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ আছি।’
ঘোষণাপত্রটি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে সর্বসম্মতভাবে সামনে আসতে পারলে দেশের জন্য ভালো। আন্তর্জাতিকভাবেও ভালো। সবাই দেখবে, এ জাতির মধ্যে বহু ঠোকাঠুকি হয়েছে; কিন্তু নড়ে না। স্থির হয়ে আছে, শক্ত হয়ে আছে। তা সারা দুনিয়াকে জানাতে চাই, দেশবাসীকে জানাতে চাই।’
বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নে ঐকমত্য হয়েছে। সবাই বলেছেন, এ ধরনের একটা ঘোষণাপত্রের দরকার আছে। তবে এখানে অনেক পরামর্শ আসছে। ঘোষণাপত্রে সবার অবদান ঠিকমতো বলতে হবে, ধারাবাহিকতা উল্লেখ করতে হবে। ঘোষণাপত্রের রাজনৈতিক বা আইনি কাঠামো কী হবে, সেটা স্পষ্ট করতে হবে। ঘোষণাপত্র নিয়ে আরও আলোচনা হবে কিনা– এমন প্রশ্নে আইন উপদেষ্টা বলেন, আলোচনা হতে পারে, কমিটিও হতে পারে। রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে খুব দ্রুত একটা কর্মকৌশল ঠিক হবে।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রশ্ন করেছি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র আসলেই সাড়ে পাঁচ মাস পর প্রয়োজন ছিল কিনা? যদি থাকে, সেটার রাজনৈতিক গুরুত্ব, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং আইনি গুরুত্ব কী– সেটা নির্ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, ঘোষণাপত্র ঘিরে ফ্যাসিবাদবিরোধী সৃষ্ট ঐক্যে ফাটল ধরানো যাবে না। এটা যদি কোনো রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক দলিলে পরিণত হয়, সে দলিলটাকে অবশ্যই সম্মান করি।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ গোলাম পরওয়ার বলেন, উপস্থিত সব দল জাতীয় ঐক্য ধারণ করে জুলাই ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। এই দলিল তৈরিতে যেন কোনো অস্থিরতা সৃষ্টি না হয়, সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে যে চেতনা তৈরি হয়েছে, সঠিক ইতিহাস যাতে বাদ না পড়ে, সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। সময় সীমাবদ্ধতার কারণে কিছু অসংলগ্নতা ছিল।
হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরীর সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ঘোষণাপত্রে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের গণহত্যাকেও সংযুক্ত করতে হবে– এটা আমরা বলেছি। ২০২১ সালে পাখির মতো গুলি করে ওলামায়ে কেরামকে হত্যা এবং হাজার হাজার ওলামায়ে কেরামকে গ্রেপ্তার করে বছরের পর বছর জেলখানায় বিনা বিচারে আটক রাখা হয়েছে, সেটাও এখানে উল্লেখ থাকতে হবে।
ঘোষণাপত্র তৈরিতে তাড়াহুড়া যেন করা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আমরা লিখিত পরামর্শ দিয়েছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ঘোষণাপত্র জারি হবে বলে আশা করেছিলেন। তবে সরকার ত্বরিত পদক্ষেপ নেয়নি। তার পরও উদ্যোগ নেওয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছি। গণঅভ্যুত্থানের অংশীজন ও সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা হবে, এটা এখন নিশ্চিত।
অংশ নেয়নি সিপিবি ও বাসদ
অন্য অনেক দলের মতো যথাযথভাবে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় এই বৈঠকে অংশ নেয়নি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। সরকারের পক্ষ থেকে ‘যথাযথভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি’ এমন অভিযোগে তারা বৈঠক বর্জন করে।
সিপিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ২৯ মিনিটে দলটির সাধারণ সম্পাদকের ফোনে নামবিহীন খুদে বার্তা পাঠিয়ে একজন প্রতিনিধিকে অংশ নিতে বলা হয়েছে। ফলে তারা ওই বৈঠকে যাননি।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ আলাদা বিবৃতিতে বৈঠকে অংশ না নেওয়ার জন্য একই কারণ উল্লেখ করেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ র র জন ত ক ন উপদ ষ ট উপস থ ত সরক র র প রণয়ন ইসল ম ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’