এআইইউবিতে আন্তর্জাতিক রোবোটিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও সিগনাল প্রসেসিং টেকনিক কনফারেন্স
Published: 17th, January 2025 GMT
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (এআইইউবি) চতুর্থ আন্তর্জাতিক রোবোটিক্স, ইলেকট্রিক্যাল এবং সিগনাল প্রসেসিং টেকনিক কনফারেন্স-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১১ ও ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের উদ্যোগে এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং এআইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড.
আইইইই বাংলাদেশ সেকশনের চেয়ার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হকের পক্ষে অধ্যাপক ড. সেলিয়া শাহনাজ বক্তব্যে প্রযুক্তিগত গবেষণা ও শিক্ষায় আইইইই-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
কনফারেন্সে ৮টি মূল বক্তব্য, ১টি আমন্ত্রিত বক্তব্য এবং ৮টি ভিন্ন বিষয়ে মোট ১৬টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
কনফারেন্সে ৭টি দেশ এবং ৪টি মহাদেশ থেকে ৩৬৫ জন গবেষক অংশ নেন। তাদের মধ্যে ২৬৫টি গবেষণাপত্র জমা পড়ে, যার মধ্যে ৯৬টি গবেষণাপত্র গৃহীত হয়। গৃহীত গবেষণাপত্রগুলোর মধ্যে ৩২টি গবেষণাপত্র বিদেশি গবেষকদের ছিল। ১০৬ জন রিভিউয়ার এবং ২৭ জন সেশন চেয়ার এই কনফারেন্সকে সফল করতে সহায়তা করেছেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে এআইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি আয়োজকদের এই কনফারেন্স আয়োজনের জন্য প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। ড. হাসানুল এ. হাসান, অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, ড. কারমেন জিটা লামাগনা বিজয়ী গবেষকদের সেরা গবেষণাপত্র এবং সেরা উপস্থাপনার জন্য ড. আনোয়ারুল আবেদীন এবং মিসেস হাসনা আবেদীন স্কলার গ্রান্ট প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান এবং ডিন অধ্যাপক ড. এ বি এম সিদ্দিক হোসেন। কনফারেন্সের আয়োজক চেয়ার এবং এআইইউবির প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারী, স্পনসর, আয়োজকক, স্বেচ্ছাসেবক এবং মিডিয়ার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে গবেষকগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ও শিক্ষকবৃন্দ, এআইইউবি’র ডিন, শিক্ষক শিক্ষিকা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কনফ র ন স
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে তৎপর পুলিশ
চট্টগ্রাম মহানগরীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের আকস্মিক ঝটিকা মিছিল করার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। মিছিলে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশের একাধিক টিম।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের ব্যস্ততম জিইসি মোড় এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিল বের করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। মাত্র কয়েক মিনিট স্থায়ী এই মিছিলটি জিইসি মোড় থেকে সিডিএ এভিনিউ’র দিয়ে সামান্য পথ এগিয়ে নেতাকর্মীরা নিজেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ২০-২৫ জনের এই মিছিলটিতে কয়েকজনকে ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায়। এদিন বিকেলের দিকে ওই মিছিলের প্রায় দেড় মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ঝটিকা মিছিলের খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে এই মিছিলটি হয়েছে বলে পুলিশের অনুসন্ধানে জানা যায়। মিছিলটি অনেক সকালে হওয়ায় আশেপাশে কোনো পুলিশের টহল বা অবস্থান ছিলো না। মিছিলের আগে পুলিশের অবস্থান রেকি করেই নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বায়েজিদ বোস্তামি জোনের সহকারী কমিশনার মো. রকিবুল হাসান বলেন, “জিইসি এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকমিনিটের একটি ঝটিকা মিছিল হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। ইতিমধ্যে কার নেতৃত্বে এবং কারা এই মিছিলে অংশ নিয়েছে তাদের অন্তত ১০-১২ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। অতি দ্রুত সময়ে তারা গ্রেপ্তার হবে বলে পুলিশ আশা করছে।”
এর আগে গত বছরের ১৭ নভেম্বর মধ্যরাতে চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ে হঠাৎ ঝটিকা মিছিল করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে মিছিলে থাকা দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রলীগের আরেকটি মিছিলের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
এতে দেখা যায়, দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ৩০ থেকে ৫০ জন জামালখান এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে সরে পড়েন। এর পাঁচ দিন পর ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার।
ঢাকা/রেজাউল/ইমন