রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ল শতাধিক ঘর, শিশুর মৃত্যু
Published: 16th, January 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া মৌচনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক বসতঘর পুড়ে গেছে। আগুনে পুড়ে ৫ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নয়াপাড়া মৌচনি ক্যাম্পের জি-ব্লকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ (যুগ্ম সচিব) আবদুল হান্নান।
তিনি বলেন, ক্যাম্পে হঠাৎ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়দের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। এছাড়া প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে।
বিস্তারিত আসছে.
...
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গণপিটুনিতে গরু চোরের মৃত্যু, গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা
বরিশালের গৌরনদীতে গরু চুরি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ সোহেল (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পরে রাতে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
নিহত সোহেল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দক্ষিণ দৌলতদিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন শেখের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সংঘবদ্ধ একদল গরু চোর গত ২৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার পশ্চিম খাঞ্জাপুর গ্রামের জসিম চৌকিদারের গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর সংঘবদ্ধ চোরেরা গোয়ালঘর থেকে তিন লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ২টি ষাঁড় ও ১টি গাভী চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় গরুর মালিক টের পেয়ে ডাক চিৎকার দিলে ২টি ষাঁড় বাড়ির উঠানে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় চোররা। পরে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে চোরাই গাভী খুঁজতে গিয়ে একই গ্রামের ইউনুস আকনের পান বরজের পাশ থেকে চোর সোহেলকে চোরাই গরুসহ আটক করে গণধোলাই দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় গত ২৬ জানুয়ারি ভোরে শেখ সোহেলকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে শেবাচিম হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ওইদিনই শেবাচিম হাসপাতালে তাকে (সোহেল) ভর্তি করা হয়।
গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, “গরুর মালিক জসিম চৌকিদার বাদী হয়ে শেখ সোহেলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ চোরকে আসামি করে ২৬ জানুয়ারি সকালে গৌরনদী থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করেছেন। অপরদিকে চোর সন্দেহে স্বামীকে মারধরের অভিযোগে সোহেলের স্ত্রী জহুরা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ শত গ্রামবাসীকে আসামি করে ২৮ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তর করা হবে।”
ঢাকা/পলাশ/ইমন