রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে (রবি) ভ্যাট সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে ‘শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ লেখা সম্বলিত লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টির অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক গোলাম সরোয়ারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) তিনি রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেন।

ওই আদেশে বলা হয়েছে, সরকারি ভ্যাট ও উৎসে কর পরিশোধ সংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপনের পক্ষে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের স্লোগান সম্বলিত নিষিদ্ধ প্যাড ব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। যা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ৪ ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে।

এতে করে প্রতিষ্ঠানের ১১(৭) আইনের ধারা অনুযায়ী অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক গোলাম সরোয়ারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ সময় তিনি বিধি মোতাবেক খোরপোশ ভাতা প্রাপ্য হবেন। বুধবার অপরাহ্ণ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে বলেও ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.

সুমন কান্তি বড়ুয়া রাইজিংবিডিকে বলেন, “দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.সুমন কান্তি বড়ুয়া ও কোষাধ্যক্ষ ড. ফিরোজ আহমদ রয়েছেন। কমিটি তদন্ত কাজ শুরু করেছে।”

গত সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক গোলাম সরোয়ার স্বাক্ষরিত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের ভ্যাট সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞপ্তিটির ওপরের অংশের ডান পাশে ‘শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ স্লোগান সম্বলিত লোগো দেখা যায়। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের নজরে এলে তারা গোলাম সরোয়ারের শাস্তির দাবিতে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

ঢাকা/হাবিবুর/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ