হামলাকারী ১ কোটি রুপি দাবি করেছিল: সাইফের নার্স
Published: 16th, January 2025 GMT
মুম্বাইয়ের বান্দ্রার নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান। হামলাকারী বাড়িতে গিয়ে অস্ত্রের মুখে ১ কোটি রুপি দাবি করেছিলেন বলে জানিয়েছেন সাইফ আলী খানের বাড়ির নার্স এলিয়ামা ফিলিপস ওরফে লিমা।
মামলার নথির বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সাইফ আলী খানের ওপরে হামলার ঘটনায় বান্দ্রা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ২টা সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় সাইফের পরিবারের সদস্য ও স্টাফরা ঘুমিয়ে ছিল।
সাইফ আলী খানের বাসার ৫৬ বছর বয়সী নার্স লিমাকে জিজ্ঞাসাদের জন্য বান্দ্রা থানায় নেওয়া হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে লিমা ভয়ংকর তথ্য জানিয়েছেন। তার দাবি, হামলাকারী ১ কোটি রুপি দাবি করেছিল।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে লিমা জানান, সাইফ আলী খানের ৪ বছরের পুত্র জে আলী খানের ঘরে প্রবেশ করে হামলাকারী; জে তখন ঘুমাচ্ছিল। হামলাকারীর হাতে তখন লাঠি ও ধারালো ব্লেড ছিল। হামলাকারী লিমার কাছে ১ কোটি রুপি দাবি করে। তা দিতে অস্বীকার করলে তাকে হেনস্তা করে। ফলে হাতে আঘাত পান তিনি। সাইফ আলী খান বাধা দিতে গেলে গুরুতর আহত হন। তা ছাড়াও আরেক স্টাফ গীতা আহত হয়েছেন বলে জানান লিমা।
গতকাল দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা রয়েছে তাকে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করার আশা ব্যক্ত করেছেন চিকিৎসকরা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।