এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম) ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ২৪ কোম্পানির ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা মূল্যের ৩২ কোটি ১০ লাখের বেশি শেয়ার অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের শুনানিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন এ আদেশ দেন। আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক আবু সাঈদ।

আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাসসহ বিভিন্ন দেশে ১ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে ওই ২৪ কোম্পানির ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকার শেয়ার পাওয়া যায়।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, এ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাদের মালিকানাধীন শেয়ার হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। এটি তারা করলে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা, চার্জশিট দাখিল, বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তসহ সব উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। তাই অনুসন্ধান শেষে মামলা, চার্জশিট দাখিল, আদালতের বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সুবিধার্থে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে শেয়ারগুলো ও তা থেকে উদ্ভূত সব মুনাফা অথবা আয় অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।

শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো– এস আলম ট্যাঙ্ক টার্মিনাল লিমিটেড, এস আলম রিফাইন সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এস আলম সুপার এডিবল লিমিটেড, এস আলম সিমেন্ট লিমিটেড, এস আলম স্টিলস লিমিটেড, এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্টস লিমিটেড, শাহ আমানত প্রাকৃতিক গ্যাস লিমিটেড, এস আলম পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড, এস আলম ব্যাগ ম্যানুফ্যাকচারিং মিলস লিমিটেড, হাসান আবাসন লিমিটেড, এস আলম ব্রাদার্স লিমিটেড, এস আলম ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেড, সোনালী কার্গো লজিস্টিকস লিমিটেড, কর্ণফুলী প্রাকৃতিক গ্যাস লিমিটেড, ওশান রিসোর্স লিমিটেড, এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড, মেরিন ইম্পায়ার লিমিটেড, এস আলম প্রপার্টিজ লিমিটেড, মডার্ন প্রপার্টিজ লিমিটেড, এস আলম লাক্সারি চেয়ার কোচ সার্ভিসেস লিমিটেড, ফাতেহাবাদ ফার্ম লিমিটেড, এস আলম কোল্ড স্টিলস লিমিটেড ও এস আলম সয়াসিড এক্সট্রাকশন প্ল্যান্ট লিমিটেড।

জানা গেছে, এস আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ২৪ কোম্পানিতে তাদের ৩২ কোটি ১০ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৮টি শেয়ার রয়েছে, যার মোট মূল্য ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার ৩০০ টাকা।

গত ১৪ জানুয়ারি এস আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরা, বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন জায়গায় থাকা জমি, ফ্ল্যাট, প্লট, ভবনসহ ২০০ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ জব্দ করা হয়। একই দিন তাদের ৬৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়। গত ১৯ ডিসেম্বর এস আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ১২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়। গত ৭ অক্টোবর এস আলম, তাঁর স্ত্রী, সন্তান, ভাইসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এস আলম গ র প এস আলম র অবর দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা  

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার। 

এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে শিক্ষার্থীরা অনশনস্থল থেকে নিজ নিজ হলে ফিরে যান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ