লড়াই এখনো শেষ হয়নি: জামায়াতের আমির
Published: 16th, January 2025 GMT
লড়াই এখনো শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘‘সামনে এখনো অনেক লড়াই রয়ে গেছে। আমাদের সন্তানেরা ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’- যে স্লোগান দিয়েছে, আমরাও সেই একই স্লোগান দিব। সেই যুদ্ধে আমরা সবাই নিজের জন্য ও প্রিয় দেশের জন্য শরিক হবো। দেশ যদি ভালো থাকে, আমিও ভালো থাকব। দেশ যদি ভালো না থাকে, আমিও ভালো থাকব না।’’
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
দল নয়, ধর্ম নয়, সকল মানুষ সমান— এই নীতির ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডা.
আরো পড়ুন:
সর্বদলীয় বৈঠকে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষে আহত ৩০
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘আমাদের সমাজ পেশাগত দায়িত্ব পালনকারী নারীদের দুটি জিনিস দিতে পারেনি। একটি হচ্ছে সম্মান, আরেকটি হচ্ছে নিরাপত্তা। আমরা কথা দিচ্ছি, মায়েরা নিরাপত্তা এবং সম্মানের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। জাতি গঠনে তারাও সমানতালে অবদান রাখবেন।’’
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, ‘‘অনেকে বলেন আমরা নারীদের কোণঠাসা করে ঘরের ভিতরে রাখব। না, বরং রাসূল (স.) সকল কর্মক্ষেত্রে যেমন তাদের মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছিলেন, আমরাও সেভাবে তাদের প্রতি চরম সম্মান রেখে সেই ব্যবস্থা করে দেবো ইনশাআল্লাহ।’’
নারীদের মর্যাদা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই দেশে একজন মা, তিনি ঘরের ভিতরে থাকবেন নিরাপদ, রাস্তায় বের হলে তিনি হবেন সম্মানিত, কাজের ময়দানে তিনি হবেন মর্যাদা প্রাপ্ত। তার যদি প্রয়োজন হয় সামাজিক ক্ষেত্রে বা কোনো কর্মক্ষেত্রে যোগদানের, সেই দক্ষতা-যোগ্যতা যদি তার থাকে, তবে তিনি অবশ্যই যোগ্য জায়গায় পৌঁছে যাবেন।’’
সবাইকে সালাম এবং অন্য ধর্মাবলম্বীদের আদাব জানিয়ে সবাই হাতে হাত রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আগামীতে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন জামায়াতের আমির।
মাগুরা জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির অধ্যাপক এম বি বাকেরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সাইদ আহমেদ বাচ্চুর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসেন, যশোর জেলা শাখার সাবেক আমির আজিজুর রহমান, মাগুরা জেলা শাখার সাবেক আমির আব্দুল মতিন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক জেলা আমির ড. আলমগীর বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য মওলান বদরুউদ্দিনসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।
ঢাকা/শাহীন/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’