চট্টগ্রামের দাপুটে জয়, টানা চতুর্থ হার খুলনার
Published: 16th, January 2025 GMT
বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম কিংস। আজকের ম্যাচে মোহাম্মদ মিঠুনদের দল খুলনা টাইগার্সকে ২০১ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় চট্টগ্রাম। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৫ রানে থেমে যায় মেহেদী হাসান মিরাজদের ইনিংস, ফলে ৪৫ রানের বড় জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে খুলনা টাইগার্স। দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় তারা। ৮ বলে ৩ রান করে ফিরে যান ওপেনার ডম শিবলি। অধিনায়ক মিরাজ ও মোহাম্মদ নাইম ইনিংস মেরামতের ইঙ্গিত দিলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
মিরাজ ৩ চারের সঙ্গে ১ ছক্কায় আক্রমণাত্মক শুরু করলেও শরিফুল ইসলামের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ৩০ রানে মিরাজের বিদায়ের পর দ্রুতই নাইমও ফিরে যান। তিনি করেন ৭ বলে ৯ রান। দলীয় ৪২ রানে নাইমের বিদায়ের পর কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
দারুইশ রাসুল কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তা যথেষ্ট ছিল না। তিনি ৩১ বলে ৩৭ রান করেন। আফিফ হোসেন ১৫ বলে ১৫ রান যোগ করার পর খুলনার ব্যাটিং লাইনআপ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৫ রানে থামে তাদের ইনিংস।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে চট্টগ্রাম। দলীয় ১৮ রানে ফিরে যান ওপেনার উসমান খান। তবে এর পরেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন গ্রাহাম ক্লার্ক। আবু হায়দার রনির প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন তিনি।
মিরাজ এবং মোহাম্মদ নেওয়াজের স্পিন সামলে অভিষিক্ত মাহফুজুর রাব্বির এক ওভারে টানা তিন ছক্কা হাঁকান ক্লার্ক। একাই সেই ওভারে তোলেন ২০ রান। সালমান ইরশাদের এক ওভারেও একটি চার এবং একটি ছক্কা মেরে তাণ্ডব চালান।
ক্লার্কের বিধ্বংসী ইনিংস থামে ৪৮ বলে ১০১ রানে। এই ইনিংসে ছিল সাতটি চার এবং ছয়টি বিশাল ছক্কা। দ্বিতীয় উইকেটে পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে ৬৩ বলে ১২৮ রানের জুটি গড়ে চট্টগ্রামের বড় স্কোরের ভিত গড়েন ক্লার্ক। পারভেজ করেন ২৯ বলে ২৯ রান।
চলতি বিপিএলে এটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরি এবং ক্লার্কের দ্বিতীয় স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। তার ধারাবাহিক ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম পাচ্ছে বড় ভরসা। আগের তিন ম্যাচে তিনি করেছেন যথাক্রমে ৬০, ৩৯ এবং ৪০ রান।
খুলনা টাইগার্সের হয়ে মোহাম্মদ নেওয়াজ এবং সালমান ইরশাদ ৩টি করে উইকেট নেন। আবু হায়দার একটি উইকেট পেলেও চট্টগ্রামের রানের পাহাড় ঠেকাতে তা যথেষ্ট ছিল না।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের উপরের দিকে উঠে এসেছে চট্টগ্রাম কিংস। অন্যদিকে, টানা চতুর্থ হারে বিপাকে খুলনা টাইগার্স।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।