হারিয়ে যাওয়া কোনো ক্রিকেটার খুঁজে পেতে কিংবা উঠতি ক্রিকেটারের দেখা পেতে অনেকেই বিপিএলে খোঁজ রাখেন। চট্টগ্রামে ‘হারিয়ে যাওয়া’ একজনকেই তেতে উঠতে দেখা গেল।

ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার গ্রাহাম ক্লার্ক। ডারহামের হয়ে খেলা ব্যাটসম্যান কখনো জাতীয় দলের আশেপাশেও যেতে পারেননি। ৩২ ছোঁয়ার অপেক্ষায় থাকা সর্বোচ্চ খেলেছেন ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৭ দলে। তাকে এবার চিটাগং কিংস উড়িয়ে এনেছে বিপিএল খেলতে। ডানহাতি ব্যাটসম্যান বিপিএল মঞ্চে নিজের ছাপ রাখছেন বেশ ভালোভাবেই।

আজ চট্টগ্রাম পর্বের শুরুটা করলেন সেঞ্চুরি দিয়ে। বিপিএলের তৃতীয় বিদেশীর সেঞ্চুরি। সব মিলিয়ে পঞ্চম। যে সেঞ্চুরিতে ঘরের মাঠে নিজেদের ঝাঁজ দেখাল চিটাগং। আগে ব্যাটিং করতে নেমে চিটাগং ৭ উইকেটে ২০০ রান তোলে। জবাবে খুলনা টাইগার্সের ইনিংস থেমে যায় ১৫৫ রানে। ৪৫ রানের বিশাল জয়ে টানা চতুর্থ ম্যাচ জিতল চিটাগং। অন্যদিকে সিলেট পর্বে কোনো ম্যাচ না জেতা খুলনা চিটাগংয়ের শুরুটাও করলো বিব্রতকর হারে।

আরো পড়ুন:

আশ্বাসেও ভরসা নেই ক্রিকেটারদের!

তীরে এসে ডুবলো খুলনা, রংপুরের রোমাঞ্চকর জয়

ম্যাচটা গ্রাহাম ক্লার্ক একাই নিজের করে নিয়েছেন। আগের দুই ম্যাচে ৩৩ বলে ৬০, ৩২ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। আজ তার ব্যাট থেকে এলো ঝকঝকে ৫০ বলে ১০১ রানের ইনিংস। যেখানে ছিল ৭ চার ও ৬ ছক্কা। খুলনার অভিষিক্ত স্পিনার মাহফুজ রাব্বীকে পরপর তিন ছক্কা মেরে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে স্বাগত জানান এই ব্যাটসম্যান।

২৮ বলে ফিফটি পূরণ করা ক্লার্ক পরের ২০ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। যা টি-টোয়েন্টিতে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে ডারহামের হয়েই ভিটালিটি ব্লাস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। ক্লার্কের জ্বলে উঠার দিনে রান পেয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন। ২৯ বলে ৪ ছক্কায় ৩৯ রান করেন। এছাড়া ১৬ রান আসে শামীম হোসেনের ব্যাট থেকে। ১১ রান করেন অধিনায়ক মিঠুন। শেষ দিকে চিটাগংয়ের ইনিংসে তেমন রান হয়নি। তবুও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল। খুলনার হয়ে বল হাতে তিনটি করে উইকেট নেন এরশাদ ও নওয়াজ।

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় শুরুতেই ম্যাচটা হারিয়ে ফেলে খুলনা। ৭১ রান তুলতে তাদের অর্ধেক ব্যাটসম্যান ফেরেন সাজঘরে। দুই ওপেনার নাঈম ও শিবলি দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। মিরাজ থেমে যান ১৯ রানে। আফিফ করেন মাত্র ২০ রান।

দলের বিপর্যয়ে হাল ধলার চেষ্টায় ছিলেন দারউইস রসুলি ও মোহাম্মদ নওয়াজ। তাদের ব্যাটেই খুলনা পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়ে আনে। সর্বোচ্চ ৩৭ রান করা রসুলি ২ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান। নওয়াজ ২০ বলে ২ চার ও ১ চারে করেন ২৫ রান। শেষ দিকে অঙ্কনের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। 

ব্যাটিংয়ের মতো চিটাগংয়ের বোলিংও ছিল নিয়ন্ত্রিত। স্পিনার আরাফাত সানী ২৫ রানে নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ।

প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন গ্রাহাম ক্লার্ক।

শুক্রবারই তাদের পরবর্তী ম্যাচ টুর্নামেন্টে এখন অপরাজিত দল রংপুর রাইডার্স। জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে তাদের আগামীকাল কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। 

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব য টসম য ন ব প এল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে মুরগির টাকা নিয়ে বিরোধ, হামলায় ক্রেতা নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মুরগি বিক্রির বকেয়া টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় এক ক্রেতা নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিরঘোনা মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

নিহত দিলদার মিয়া (৪৮) টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিরঘোনা এলাকার আব্দুস সোবহানের ছেলে। তিনি মনিরঘোনা স্টেশনে মুরগির ব্যবসা করতেন।

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে আঞ্চলিক দলের মধ্যে গোলাগুলি, গৃহবধূ নিহত

গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত নারীর পরিচয় মিলেছে 

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, কিছুদিন আগে একই এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে আব্দুল হাকিম দিলদার মিয়ার দোকান থেকে বাকিতে মুরগি কেনেন। দিলদার মিয়া পাওনা টাকা আদায়ের জন্য কয়েকবার তাগাদা দিলেও আব্দুল হাকিম টাকা পরিশোধ করেননি।

সোমবার দুপুরে মনিরঘোনা মসজিদের সামনে আবারো পাওনা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দিলদার মিয়া ও আব্দুল হাকিমের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আব্দুল হাকিম ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন মিলে দিলদার মিয়াকে মারধর শুরু করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উখিয়ার পালংখালী স্টেশনের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আরো জানান, ঘটনার পর থেকে আব্দুল হাকিমসহ অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/তারেকুর/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ