ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধে না ফিরলে সরকার পতনের হুমকি নেতানিয়াহুর শরিকদের
Published: 16th, January 2025 GMT
হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি-জিম্মি চুক্তির প্রথম পর্যায়ের পর গাজায় যুদ্ধে ফিরে না আসলে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ক্ষমতাসীন জোটের শরিক দল পদত্যাগের হুমকি দিয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে ইসরায়েলি জোট সরকারের পতন হতে পারে। বৃহস্পতিবার সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার কাতার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা যে চুক্তি ঘোষণা করেছেন তাতে বলা হয়েছে, ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে হামাস এবং ইসরায়েল স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করবে।
ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা বৃহস্পতিবার চুক্তিটি অনুমোদনের জন্য ভোটাভুটি বিলম্বিত করেছে। এর কারণ হিসেবে ইসরায়েল দাবি করছে, হামাস শেষ মুহূর্তে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে। তবে হামাস অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের অতিডানপন্থী দল জায়নিস্ট পার্টি শর্ত দিয়েছে যে সরকারে থাকার জন্য ইসরায়েলকে ‘হামাসকে ধ্বংস করতে এবং সমস্ত জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে যুদ্ধে ফিরে যেতে হবে এবং তা চুক্তির প্রথম পর্যায়ের সমাপ্তির পরপরই।’
যুদ্ধে ফিরে যাওয়ার জন্য নেতানিয়াহুর কাছ থেকে লিখিত গ্যারান্টি চাওয়া হয়েছে কিনা তা দলটি জানায়নি।
সরকারের জোটের অতিডানপন্থী আরেক সদস্য ইসরায়েলি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গাভিরও পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন এবং স্মোট্রিচকে তার সাথে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
অবশ্য জোটে থাকা দুই দুলের পৃথকভাবে পার্লামেন্টে পর্যাপ্ত আইনপ্রণেতা নেই যে তারা একা সরকার ভেঙে দিতে পারবে। তবে উভয় মন্ত্রীর একসাথে আইনসভায় ১৪টি আসন রয়েছে, যা সরকার পতনের জন্য যথেষ্ট।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য ইসর য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ইলন মাস্ক শিগগির দায়িত্ব ছাড়ছেন, বলেছেন ট্রাম্প
ইলন মাস্ক আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের জানিয়েছেন।
টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে নবগঠিত সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটা সরকারের সরাসরি কোনো অংশ নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় ও কর্মীবহর কমানো ছিল এই বিভাগের কাজ।
ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর পর মাস্কের পরামর্শে অনেকগুলো বড় বড় সিদ্ধান্ত নেন। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএইডি বন্ধ করা এবং লাখ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে অবসরে পাঠানোর মতো সিদ্ধান্ত দেশটিতে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল।
ইলন মাস্কের সরে যাওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্য সম্পর্কে অবগত তিনটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইলন মাস্ক এখন তাঁর ব্যবসায়িক কাজে ফিরে যাবেন। পাশাপাশি তিনি সরকারকে সহায়তার একটি ভূমিকা পালন করবেন।
মাস্ক ও তাঁর বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন ট্রাম্প। তবে সম্প্রতি দুজনেই এই বিষয়ে একমত হন যে, মাস্কের সরে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে।
ডিওজিইর দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে মাস্ক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। কিন্তু চঞ্চল মনোভাবের কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরের লোকজন এবং প্রশাসনের বাইরের অনেক মিত্র মাস্ককে অপছন্দ করা শুরু করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাল্লা ভারী হতে থাকে। অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ এই ধনীকে সম্পদের পরিবর্তে রাজনৈতিক দায় হিসেবে দেখতে শুরু করেন ট্রাম্পের দলের রাজনীতিবিদরা।
ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও মাস্ক সম্ভবত প্রেসিডেন্টের অনানুষ্ঠানিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন। মাঝে–মধ্যে তাঁকে হয়তো হোয়াইট হাউসে দেখা যাবে।