বন্দরের ধামগড়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়ি ঘরে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ভাংচুর লুটপাট করেছে।  এ সময় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র ও লোহার রড়, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে এক দম্পত্তিকে রক্তাক্ত জখম করে আহত করেছে। আহতরা হলো- ধামগড় এলাকার জহিরুল হক এর বাড়ির ভাড়াটিয়া রফিক ওরফে রকি (৫৫) ও তার স্ত্রী নুর নাহার (৪২)। 

এ ঘটনায় মৃত ছাদেক আলীর ছেলে ভুক্তভোগী আহত মো: রফিক ওরফে রকি বাদী হয়ে বন্দর থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখসহ ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলো- বন্দরের রামনগর ২৬নং ওয়ার্ডের ধামগড় এলাকার মৃত ফালু মুন্সির ছেলে মো: রহিম (৫০) ও মো: ইমাম হোসেন (৪০), একই এলাকার মো.

রহিমের ছেলে মো. আরাফাত (২৫)।   

অভিযোগে আহত রকি উল্লেখ করেন, অভিযুক্তরা ও আমরা একই এলাকার প্রতিবেশি ও পাশাপাশি বসবাস করি। বিবাদীদের কাছে পাওনা টাকা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল।

এর জের ধরিয়া গত ১৩ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উল্লেখিত বিবাদীরা সহ অজ্ঞাত নামা আরো কয়েক জন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বে আইনী জনতাবদ্ধে দেশীয় ধারালো অস্ত্র সস্ত্র ও লোহার রড়, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি দিয়া আমার ভাড়া বাড়িতে প্রবেশ করিয়া আমার স্ত্রী নুর নাহারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আমি ও আমার ছেলের বৌ লিছা (১৯), মেয়ে রেখা (২০) বিবাদীদের বাধা নিষেধ করিলে তারা আমাদের উপর এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। 

পরবর্তীতে রাম দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথার পিছনে ও মাথার বাম এবং ডান পাশে কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। পরে আমার গলা চেপে ধরে হত্যাচেষ্টা করে। 

এ সময় হামলাকারীরা আমার ছেলের বৌ এর গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন, ৬ আনা ওজনের কানের দুল নিয়া যায়, যার মূল্য ৬৫ হাজার টাকা, আমার মেয়ের গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্নের চেইন ও ৮ আনা ওজনের কানের দুল নিয়ে যায় যার মূল্য ৮৫ হাজার টাকা। 

পরে তারা ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে ২৫ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। এক পর্যায় আমাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা আমাদের প্রানানাশের   হুমকী দিয়ে চলে যায়।

পরে আমি ও আমার স্ত্রী আশেপাশের লোকজনের সহায়াতায় বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা করি।

অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার এসআই কামরুজ্জামান বলেন অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তনাধীন।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক র ওজন র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ