বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক কলিম শেখ নামের এক ব্যক্তি পুলিশের হেফাজত থেকে হাতকড়াসহ পালিয়েছে। ওই ছিনতাইয়ে দু’জনকে আটক করেছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল থেকে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায়।
কলিম শেখ আদমদীঘির ছাতিয়ার গ্রামের খোকা শেখের ছেলে।
জানা যায়, গত ১৪ জানুয়ারি রাতে আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ান গ্রাম ইউনিয়নের আমইল গ্রামে স্থানীয়রা ছিনতাইয়ের অভিযোগে কলিম শেখ ও রাজু পালোয়ানকে আটক করে মারধরের পর পুলিশে দেয়। মারধরে আহত দু’জনকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কলিম শেখ হাতকড়া পরা অবস্থায় পালিয়ে যায়। সে সার্জারি বিভাগে ভর্তি ছিল।
আদমদীঘি থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কল ম শ খ
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।