ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বৃহস্পতিবার এক সফরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছেছেন। দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিতে এক শতাব্দী ধরে সাহায্য করার অঙ্গীকার নিয়ে তাঁর এ সফর।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার কয়েক দিন আগে ইউক্রেনে গেলেন তিনি। ব্রিটিশ সরকার বলেছে, স্টারমার ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠকে প্রতিরক্ষা, বিজ্ঞান, শক্তি, বাণিজ্যসহ ‘১০০ বছরের অংশীদারিত্ব’ চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এদিকে দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসনে রুশ ড্রোন আক্রমণে বেসামরিকদের ওপর চরম ত্রাস চলছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই অঞ্চলে ড্রোন হামলার সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে অন্তত ১৬ জন নিহত এবং ১৪৪ জন আহত হয়েছেন। খেরসনের ডেপুটি মেয়র আন্তন ইয়েফানোভ বলেছেন, রুশ বাহিনী খেরসনে কেবল সন্ত্রাস চালাচ্ছে না, তারা বেসামরিকদের ওপর প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সিএনএন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আত্মহত্যা করলেন প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা জিওফ্রি
কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইন ও ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলা ভার্জিনিয়া জিওফ্রি আত্মহত্যা করেছেন। মাত্র ৪১ বছর বয়সে তিনি আত্মঘাতী হন বলে তার পরিবার জানিয়েছে।
জিওফ্রি ছিলেন এপস্টেইন ও তার সহযোগী ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের শিকার নারীদের মধ্যে সবচেয়ে সোচ্চার কণ্ঠ। তিনি দাবি করেছিলেন, ১৭ বছর বয়সে তাকে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর কাছে পাচার করা হয়েছিল। তবে এ অভিযোগ যুবরাজ বারবার অস্বীকার করেছেন।
জিওফ্রির পরিবার এক বিবৃতির বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, গত শুক্রবার পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় মারা যান জিওফ্রি, যেখানে গত কয়েক বছর ধরে তিনি থাকতেন। যৌন নিপীড়ন ও পাচারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন অকুতোভয় যোদ্ধা। জিওফ্রি সেই আলো, যিনি অসংখ্য নির্যাতিতের প্রেরণা ছিলেন। পুলিশ নিশ্চিত করেছে, পার্থের এক গ্রামীণ এলাকায় এক নারীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। জিওফ্রি গত মাসে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কথা জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন। যদিও পুলিশ তা গুরুতর বলে স্বীকার করেনি।
২০১৯ সালে প্রকাশিত আদালতের নথি অনুযায়ী, ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টে স্পা অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কাজ করার সময় তিনি ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে পরিচিত হন। এর পর এপস্টেইনের বিভিন্ন বাড়িতে তার সঙ্গে সময় কাটান। এমনকি প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সঙ্গেও তার দেখা হয় বলে দাবি করেন। ২০০১ সালে তোলা একটি বিতর্কিত ছবিতে প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে তার কাঁধে হাত রেখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।