বন্দরে  ট্রাকসহ কোটি টাকা মূল্যের কানেকন্টর ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ৩ ডাকাতকে ১ দিনে রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি)  দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুনরায় তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে আদালত থেকে  রিমান্ডে আনে।

রিমান্ডপ্রাপ্ত ডাকাতরা হলো বন্দর থানার ২৬ নং ওয়ার্ডের  রামনগর এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে রুবেল (৩৮) একই এলাকার আব্দুল সাত্তার মিয়ার ছেলে আসলাম (৪০) ও ধামগড় ইউনিয়নের মনারবাড়ী এলাকার মৃত আলী হোসেন মিয়ার ছেলে আসলাম (৩৩)

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ভোর রাতে মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কের বন্দরের তালতাল এলাকায় এ  ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে।  এ ঘটনায়  আশুলিয়া গ্রীন ডাইনেস্টি লিমিটেড’র ব্যবস্থাপক মোসলেম আলী বাদী বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং- ৯(১)২৫ ধারা- ৩৯৫/ ৩৯৭ পেনাল কোড।

মোসলেম আলী জানান, ঢাকার  আশুলিয়া কবিরপুর এলাকায় অবস্থিত গ্রীন ডাইনেস্টি লিমিটেড নামের তাদের এক ফ্যাক্টরি থেকে গত বুধবার রাতে ৪ লাখ ৭৫  হাজার পিছ কানেকন্টর নিয়ে একটি ট্রাক বন্দরের লক্ষনখোলা এলাকায় অবস্থিত ডিজেডিসি চায়না ব্যাটারী ফ্যাক্টরির উদ্দেশে রওনা হয়।

বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে মদনপুর- মদনগঞ্জ সড়কের ইস্পাহানি তালতলা এলাকায় ট্রাকটি এলে  ১২/১৫ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ট্রাকের গতিরোধ করে। পরে  অস্ত্রের মুখে  জিম্মি করে চালক হেলপারকে মারধর করে কানেকন্টর ভর্তি ট্রাক ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, ডাকাতি  মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাতি হওয়া ট্রাকসহ আংশিক মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।  ৩ ডাকাতকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদেরকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

নারীর ফাঁদে ঢাকার গ্রাফিক্স ডিজাইনার বন্দরে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৬  

বন্দরে নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে এক গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে অপহরণের পর মুক্তিপন আদায়ের  ঘটনায় সংঘবদ্ধ চক্রের ৬ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

গ্রেপ্তারকৃত অপহরণকারিরা হলো, বন্দর থানার নবীগঞ্জ  নোয়াদ্দা এলাকার বোরহান মিয়ার ছেলে শাকিল (২৮) একই থানার দাঁশেরগাও আমিরাবাদ এলাকার সালাউদ্দিন মিয়ার সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে শাকিল (১৯) নোয়াদ্দা এলাকার মোঃ হোসেন মিয়ার ছেলে রাহাত (২৪) কাইতাখালি এলাকার আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে শিল্প (২৪) একরামপুর ইস্পাহানী এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (২৭) ও একরামপুর পৌরসভা এলাকার সোহেল পাটুয়ারী ছেলে মোঃ শরিফ (২৭)।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে বন্দর উপজেলার সাবদী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে আনিকা ওরফে রিংকি (২৫) নামে এক নারীর মাধ্যমে ফাঁদ পেতে বন্দর উপজেলার মদনপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই গ্রাফিক্স ডিজাইনাকে  অপহরণ করা হয়।  

এ ঘটনায় অপহৃত গ্রাফিক্স ডিজাইনার বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৬ অপহরণকারীসহ  ২১ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করে। 

পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ৬ অপহরনকারিকে মঙ্গলবার দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। অপহৃত গ্রাফিক্স ডিজাইনার আল আমিন (৩০)  রাজধানীর মিরপুর থানার শাহ আলীবাগ এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।

তথ্যসূত্রে জানাগেছে,  বন্দরের স্বল্পেরচক এলাকার শাকিল আহম্মেদের স্ত্রী আনিকা ওরফে রিংকির সঙ্গে গ্রাফিক্স ডিজাইনার আল আমিনের সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে মাধ্যমে পরিচয় হয় এবং ম্যাসেঞ্জারে কথা হতো। এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাতে রিংকি ম্যাসেঞ্জারে আল  আমিনকে  বন্দর থানাধীন মদনপুর বাস স্ট্যান্ডে আসতে বলে।  

পরে তাকে অপহরণ করে কাইতাখালি  বাস স্ট্যান্ডের পাশে পাকুরের পাড়ে নিয়ে  কাঠের ডাসা দিয়ে পিটিয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারিরা অপহৃত আল আমিনকে বেদম ভাবে পিটিয়ে তার কাছ থেকে মোবাইল ও ম্যানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।  

পরে অপহরনকারীরা অপহৃত পিতার কাছ থেকে  বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপন হিসেবে ৪৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে অপহরনকারীরা অপহৃত গ্রাফিক্স ডিজাইনার আল আমিনকে কাইতাখালি এলাকা থেকে  সাবদী এলাকায় তুলে নিয়ে যায়। 

এক পর্যায়ে অপহৃত আল আমিন   টহলরত পুলিশের গাড়ী দেখে থামানোর সংকেত দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ওই সময় অপহরণকারীরা  কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২১ জনের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারীর ফাঁদে ঢাকার গ্রাফিক্স ডিজাইনার বন্দরে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৬