গাজীপুরে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) দিনব্যাপী ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপো অ্যান্ড জব ফেয়ার’ এর আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনের পর থেকেই মেলায় চাকরি প্রার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় এ মেলার উদ্বোধন করেন ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। উদ্বোধনের পর উপাচার্য মেলায় স্থাপিত বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। 

এ সময় তার সঙ্গে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. আরেফিন কাওসার, জব ফেয়ার আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব ড. মো. মাহমুদুর রহমান এবং বিভিন্ন কারখানার ও প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রতিনিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, “এ অনুষ্ঠান শুধু একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপো ও জব ফেয়ার নয়; এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ের ভবিষ্যত নির্মাণ এবং শিল্পের বর্তমান চাহিদা পূরণের বিভিন্ন দিক উন্মোচন করবে। এ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপো ও জব ফেয়ার এমন একটি সুযোগ, যেখানে মেধাবী মস্তিষ্কগুলো তাদের উচ্চাশা নিয়ে একত্রিত হতে পারে, একাডেমিক শিক্ষা এবং কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী বাস্তব দক্ষতাগুলো একত্রিত হতে পারে এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পেশার চমৎকার দিকগুলোতে সফলতার পথ তৈরি হতে পারে।”

তিনি বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেশন, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং স্মার্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার থেকে শুরু করে দক্ষ পেশাদারের প্রয়োজন এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। আমি আশা করি, এ আয়োজন থেকে নতুন নতুন ভাবনা ও উদ্ভাবনের জন্ম হবে; যা আমাদের শিল্পখাত এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করবে।”

আয়োজন কমিটি থেকে জানানো হয়েছে, মেলায় মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, ওয়াল্টন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রাণ গ্রুপ, ক্রাউন সিমেন্ট, শাহ সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, আরএফএল গ্রুপ, এনার্জিপ্যাক, বারাকা গ্রুপ, রানার গ্রুপ, বাংলা ক্যাট, বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডসহ প্রায় অর্ধশত শিল্প প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।

এখানে চাকরি প্রার্থীরা তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দেওয়ার মাধ্যমে আবেদন করবেন। পরে কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে তথ্য জানাবে।

ঢাকা/রেজাউল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেস ক্লাবের জমিতে ঘর তুললেন যুবদল নেতা 

জেলা প্রশাসক থেকে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কসবা প্রেস ক্লাবের চার শতক জমিতে রাতের আঁধারে ঘর তুললেন যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম। শুধু জমি দখল করেই ক্ষান্ত হননি, সাংবাদিকদের নানাভাবে হয়রানি করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

জানা যায়, প্রেস ক্লাবের স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য সাংবাদিক কার্তিক কর্মকারের কাছ থেকে দুই শতক জমি কেনা হয়। কার্তিক কর্মকার আরও দুই শতক জমি দান করেন। ২০১৭ সালে ২৪ মে দলিল রেজিস্ট্রি হয়। ওই জায়গায় ভবন নির্মাণের জন্য তৎকালীন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে ১০ লাখ টাকা অনুদান দিয়ে ঠিকাদারের মাধ্যমে বাউন্ডারি নির্মাণ করে দেন। ২০২২ সালে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কসবা প্রেস ক্লাবকে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ তলা নান্দনিক প্রেস ক্লাব ভবন নির্মাণ করার ঘোষণা দিলে পৌরসভা থেকে মাটি পরীক্ষা, ভবনের নকশাসহ যাবতীয় কাজ শেষ করা হয়। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর জাহাঙ্গীর আলম লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে ওই জমি ঘিরে থাকা ২৪টি বাউন্ডারি পিলার ভেঙে রড, সিমেন্ট, বালি, কংক্রিটসহ ১০-১১ লাখ টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে যান। সেখানে ভবনের কাজ শুরু করতে চাইলে প্রেস ক্লাব সভাপতি ও সংগঠনের অন্য সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতেও অভিযোগ করা হয়। আদালতের নির্দেশে কসবা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলমকে ভবন নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নোটিশ দেন। নোটিশ পেয়েও জাহাঙ্গীর লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে রাতের আঁধারে সেখানে ঘর তুলেছেন। 

কসবা থানার ওসি আবদুল কাদিরসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগ পেয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে। তিনি রাজি হননি। তাঁকে জায়গা ছেড়ে দিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তাঁর ভাই বিএনপি নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াসকেও জানানো হয়েছে। এর পরও তিনি কথা শোনেননি। উল্টো পুলিশকে হুমকি দিচ্ছেন। 

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল আলম স্বপন বলেন, জাহাঙ্গীর আলম আরও অনেকের জায়গা দখল করে বিএনপির মুখে চুনকালি দিয়েছে। তাঁর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। 

কসবা-আখাউড়ার বিএনপির সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী কবির আহম্মেদ ভূঁইয়া জানান, ভূমিদস্যূ ও জুলুমবাজদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এরা বিএনপির নাম বিক্রি করে ফায়দা লুটছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে জাহাঙ্গীর আলমকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ