অন্যের চরিত্র হননের রাজনীতি জামায়াতে ইসলামী করবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, বৈষম্যহীন দেশ গড়া আমাদের অঙ্গীকার। আমরা সীমাহীন ওয়াদা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। কাউকে করতেও দেব না।

বৃহস্পতিবার মাগুরার নোমানী ময়দানে কর্মী সম্মেলনে এসব কথা বলেন জামায়াত আমির। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা শিখে হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজছে। শিক্ষাজীবন শেষে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি তাদের অধিকার। আমরা কাউকে ঘুষ দিই না, নিতেও দেব না।

শফিকুর রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে গণমাধ্যম হাতকড়া পরে ছিল। অনেক সাংবাদিককে স্ক্রিপ্ট ধরিয়ে দেওয়া হতো। জামায়াতের দুর্নাম করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। যে স্বাধীনতা অন্যের চরিত্র হনন করে; গুজব ও মানুষের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ায়, আমরা তেমন রাজনীতি করতে চাই না।

মাগুরা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক এমবি বাকেরের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, কুষ্টিয়া অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আব্দুল মতিন, গণঅধিকারের জেলা সভাপতি বরকতুল্লাহ প্রমুখ।

পরে সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে পথসভায় জামায়াত আমির বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অনেক লড়াই রয়ে গেছে। হাত মজবুত করে বুঝিয়ে দিতে হবে, তোমাদের কালো টাকার কাছে আমরা বিক্রি হব না। জেলা জামায়াতের আমির আলী আজম মো.

আবু বকর এতে সভাপতিত্ব করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত ঝ ন ইদহ র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

সম্মেলন বাতিল চেয়ে বিএনপির একাংশের বিক্ষোভ মিছিল

হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন বাতিল চেয়ে দলের একাংশ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। শুক্রবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে গোবিন্দপুর বাজারে সমাবেশ হয়। 

সমাবেশে বক্তৃতা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি সিরাজ উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব এবিএম জহির উদ্দিন সোহেল, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আব্দুস সাত্তার, নূরে আলম এরশাদ প্রমুখ। রোববার গোবিন্দপুর বাজারে সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।

বক্তারা বলেন, গোবিন্দপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম হিমেল ও তাঁর সহযোগীরা নিজেদের লোক নিয়ে সাজানো সম্মেলন করতে চাচ্ছেন। এটা দলের নেতাকর্মীরা মানে না। আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে করা কাউন্সিলের চিন্তা বাদ দিয়ে নির্যাতিত ত্যাগী নেতাকর্মীকে স্থান দিতে হবে। 

এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম হিমেল বলেন, সম্মেলনের আয়োজন করেছে বিএনপি। মিছিল করেছে যুবদল। তাদের কোনো সাংগঠনিক এখতিয়ার নেই সম্মেলনের বিরুদ্ধে মিছিল করার। 

এ প্রসঙ্গে সিরাজ উদ্দিনের ভাষ্য, কথাটা ঠিক নয়। ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব শহীদুল ইসলামসহ একাধিক বিএনপি নেতা মিছিলে অংশ নিয়েছেন। তারা বক্তব্যও দিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। 

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ও হোসেনপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম মবিনকে একাধিকবার ফোন করা হয়। তাদের ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ