স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে যাওয়ার সময় শিশু একাডেমির সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তা ও নির্দেশদাতাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার প্রক্টরের দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’র হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সংগঠন নয় এবং এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই।

হামলায় জড়িত ওই সংগঠনের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনতিবিলম্বে শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বহির্ভূত হামলাকারীদের বিরুদ্ধেও যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য যে,

ইতোমধ্যে হামলাকারী দুইজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে যাওয়ার সময় শিশু একাডেমির সামনে পুলিশ কর্তৃক শিক্ষার্থীরা হামলার শিকার হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর তীব্র নিন্দা জানায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তা ও নির্দেশদাতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানায়।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার হামলায় আহত ঢাবি শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ল শ কর ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ভালোই আলোচনা চলছে, বললেন ট্রাম্প

গাজায় যুদ্ধবিরতি বিষয়ে ভালোই আলোচনা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ কথা বলেন। তবে এ ব্যাপারে তিনি খুব একটা বিস্তারিত বলেননি।

গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকর হয়। এর আওতায় গাজায় হামাসের কাছে আটক থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মি এবং ইসরায়েলের কারাগার থেকে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

দুই দিনের মধ্যে প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি ফলপ্রসূ হবে কি না।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে ওই যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা দেখছি কী হয়। কেউ আসলে জানে না, তবে আমরা দেখছি কী হয়। আমাদের মধ্যে ভালোই আলোচনা চলছে।’

যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য ইসরায়েল ও হামাস একে অপরকে দায়ী করেছে।
গতকাল স্টারমার দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের প্রতি তাঁর সমর্থনের কথা পুনচ্চারিত করেছেন। দ্বিরাষ্ট্র সমাধান হলো ইসরায়েল রাষ্ট্রের পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।

ট্রাম্প গাজা দখলের যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্টারমারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি বিশ্বাস করি যে এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দুই রাষ্ট্র সমাধানই একমাত্র পথ।’

ট্রাম্পের গাজা দখলের ওই প্রস্তাবকে জাতিগত নিধন উল্লেখ করেছে বিশ্ব সম্প্রদায়।
ইসরায়েল ও হামাস একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। জাতিসংঘ ইসরায়েলি জিম্মি ও মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দীদের উভয়ের চিত্রকে দুঃখজনক বলে বর্ণনা করেছে, তারা বলেছে যে তারা যে ভয়ানক অবস্থার মধ্যে ছিল, তা প্রতিফলিত করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ