মারামারির ভিডিও করতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের
Published: 16th, January 2025 GMT
ছাত্রলীগের এক ইউনিয়ন সভাপতির ওপর আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়ে কাপাসিয়ায় প্রবাস ফেরত যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
নিহত মো. এনামুল (৩০) উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের তিলশুনিয়া গ্রামের গিয়াসউদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে। এ ঘটনায় এনামুলের স্ত্রী নাজনীন ইসলাম বৃষ্টি কাপাসিয়া থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন।
এনামুলের বড় বোন নাসিমা সুলতানা জানান, চাঁদপুর ইউনিয়নের ভাকোয়াদি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গত সোমবার জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) নিতে এসেছিলেন চাঁদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদ হোসেন। তাঁকে মাঠে দেখতে পেয়ে বিগত সরকারের আমলে তাঁর হয়রানি ও মারধরের শিকার একদল লোক তাঁর ওপর আক্রমণ চালায়। এ সময় ফরিদ হোসেনের সঙ্গীরা তাদের ওপর পাল্টা আক্রমণ চালায়। মারামারির এ দৃশ্য ভিডিও করতে এগিয়ে যায় মালয়েশিয়া ফেরত এনামুল। তাঁর ভিডিও করার দৃশ্য দেখে ফেলায় ফরিদের ওপর আক্রমণকারীরা এনামুলকে কিল-ঘুসি মারতে মারতে একটি ঘরে নিয়ে আটক করে। পরে সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে এক পর্যায়ে ছেড়ে দেয় তাঁকে। বাড়ি ফেরার পর গত বুধবার সকালে অসুস্থ বোধ করলে পরিবারের লোকজন তাঁকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর অবস্থার উন্নতি না হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই দিন সন্ধ্যায় চিকিৎসকরা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাসিমা আরও জানান, এনামুলের গলায়, মাথায় ও অন্ডকোষে মারাত্মক জখম ও রক্ত জমাট হয়ে থাকার চিহ্ন দেখা গেছে।
তবে এনামুলের প্রতিবেশী ছানাউল্লাহ শিকদারের ভাষ্য, এনামুল বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরত এসেছেন।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, নিহত এনামুলের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর স্ত্রী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে অপহরণ, টেকনাফের পাহাড় থেকে উদ্ধার সেই ৬ শ্রমিক
অবশেষে কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড় থেকে সিলেটের সেই ছয় শ্রমিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের সদর ইউনিয়নের রাজারছড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে তাদেরকে অপহরণ করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উদ্ধারকৃতরা হলেন– লোহারমহল গ্রামের মৃত লুকুছ মিয়ার ছেলে রশিদ আহমদ (২০), ফারুক আহমদের ছেলে মারুফ আহমদ (১৮), আজির উদ্দিনের ছেলে শাহিন আহমদ (২১), মৃত দুরাই মিয়ার ছেলে এমাদ উদ্দিন (২২), ইউপি সদস্য ছফর উদ্দিনের ছেলে খালেদ আহমদ (১৯) ও মৃত সরবদির ছেলে আব্দুল জলিল (৪০)।
এর আগে ১৫ এপ্রিল সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার সেই ৬ শ্রমিক কাজের সন্ধানে কক্সবাজার যান। ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও তার পর থেকে তাদের সবার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সিলেটের সেই ছয় শ্রমিককে উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুদ্দিন শাহীন বলেন, ‘অপহরণকারীরা তাদের মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে পাহাড়ি এলাকায় জিম্মি করে রেখেছিল। পুলিশ তাদের খোঁজে রাজারছড়া পাহাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অপহরণকারীরা পালিয়ে গেলেও ছয় শ্রমিকদের উদ্ধার করা হয়। তারা সবাই সুস্থ আছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘সিলেটের নিখোঁজ ছয় শ্রমিকদের টেকনাফের পাহাড় থেকে উদ্ধার করেছে সেখানকার পুলিশ। তারা এখন টেকনাফ থানায় রয়েছে।’