জাবি শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
Published: 16th, January 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী হুসনি মুবারকের ওপর বহিরাগতের হামলার প্রতিবাদে ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় এ বিক্ষোভ মিছিল করেন জাবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে নতুন প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে শেষ হয় এবং সেখানেই সমাবেশ করেন তারা।
এ সময় জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক ও ইতিহাস বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইয়াহিয়া জিসান বলেন, “আমরা মনে করি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের টাকায় চলে। এখানে দেশের সব মানুষ আসবে, এটা আমরা প্রত্যাশা করছি। আমরা তাদের কোন বাধাও দিচ্ছি না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় কোন পার্ক না।”
তিনি বলেন, “বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে পার্ক মনে করে ব্যবহার করে, এটা অনেক লজ্জার। বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে নিয়মিত ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমরা এসব ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা জাবিকে একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস হিসেবে দেখতে চাই। এজন্য যা যা করা দরকার, তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, “আমরা হুসনি মুবারকের ওপর হওয়া এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলাকারীর উগ্রতা ও কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দূর্বল প্রতিয়মান করে। আমরা ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে পরবর্তীতে কেউ এমন সাহস করতে না পারে।”
গত ১৫ জানুয়ারি ফিল্ডওয়ার্কের সময় হুসনে মুবারক ও তার সহপাঠীরা দুইজন বহিরাগতকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে সহকারী প্রক্টরকে জানান। এরই জেরে বহিরাগত শিক্ষার্থী ছিবগাতুল্লাহ আল ছামি তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।