মানবাধিকারের ক্ষেত্রে ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ বাইডেন প্রশাসনের
Published: 16th, January 2025 GMT
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মানবাধিকারের ক্ষেত্রে ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ দেখিয়েছেন। গাজায় যুদ্ধাপরাধ সত্ত্বেও ইসরায়েলকে ‘বিধিনিষেধ ছাড়াই অস্ত্র সরবরাহ’ করেছেন এবং ইউক্রেনে ‘অনুরূপ লঙ্ঘনের’ জন্য রাশিয়ার নিন্দা করেছেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত অধিকার গোষ্ঠীর ২০২৫ সালের বিশ্ব প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজার দুর্ভিক্ষ সংকটের মধ্যে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘে তহবিল বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সময়ে, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে নজিরবিহীনভাবে ১৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের নিরাপত্তা সহায়তা প্রদান করেছে এবং শতাধিক অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে ‘উপেক্ষিত বাস্তবতা’ তুলে ধরে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উদার গণতান্ত্রিক দেশটি বিদেশে ‘মানবাধিকারের সর্বদা নির্ভরযোগ্য চ্যাম্পিয়ন ছিল না।’
প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যে, ২০ জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণকারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে ‘আরো বেশি মানবাধিকারের ক্ষতি করবেন’, যা ‘বিশ্বব্যাপী উদারপন্থী নেতাদেরও একই পদক্ষেপ অনুসরণ করতে উৎসাহিত করবে।’
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’