অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঘোষণাপত্র ফলপ্রসূ করতে আরও আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কাজটি এগিয়ে নেওয়ার জন্য কমিটিও গঠন করা হতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে ডকুমেন্টেড করতে সময় নেওয়া হবে। এ বিষয়ে দ্রুত একটি কর্মকৌশল ঠিক করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূস। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণসংহতি আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বৈঠক বিষয় নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার সঙ্গে ছিলেন। 

অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। সবাই বলেছেন, এ ধরনের একটা ঘোষণাপত্র করার দরকার আছে। তবে এখানে অনেক সাজেশন (পরামর্শ) এসেছে। মোটাদাগে হলো- ঘোষণাপত্রে সবার অবদান বলতে হবে, ধারাবাহিকতা উল্লেখ করতে হবে। ঘোষণাপত্রের রাজনৈতিক বা আইনি প্রকৃতি কী হবে, সেটা স্পষ্ট করতে হবে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক শক্তি ও ছাত্র-জনতা সবার মধ্যে আলোচনা করে সর্বসম্মতভাবে এই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘এটার জন্য যতটা সময় লাগা প্রয়োজন, ততটা সময় নেওয়া যেতে পারে। তবে অযথা কালবিলম্ব বা সময়ক্ষেপণ যেন না হয়। সবাই একমত পোষণ করেছে, সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে আরও নিবিড় আলোচনার মাধ্যমে এ ধরনের ঘোষণাপত্র হওয়া উচিত।’

ঘোষণাপত্র প্রকাশের সময়সীমা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল ও শিক্ষার্থীদের সংগঠনের যারা অংশ নিয়েছেন, সবাই সর্বসম্মতিক্রমে একটি ঘোষণাপত্র তৈরি করার কথা বলেছেন। যত সময় লাগুক, তা যেন নেওয়া হয়। তাড়াহুড়া যেন না করা হয়, আবার অযথা কালক্ষেপণ যেন না করা হয়। এই লক্ষ্যে অনেকে প্রস্তাব করেছেন আলোচনা করার জন্য যেন একটি কমিটি গঠন করা হয়। আমরা এই প্রস্তাবগুলো দ্রুত বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইন উপদ ষ ট ন উপদ ষ ট র জন ত ক ত হয় ছ

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ