যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
Published: 16th, January 2025 GMT
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় যুবলীগ নেতা কাবুল মোল্লার (৪৫) বিরুদ্ধে রুবেল মোল্লা (২০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। যুবলীগ নেতার নির্যাতনে নিহত রুবেল মোল্লার পরিবারে বইছে এখন শোকের মাতম। স্বজনকে হারিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে রুবেলের পরিবারের সদস্যদের।
নিহত রুবেল মোল্লা উপজেলার বান্ধবাড়ি ইউনিয়নের মধুর নাগরা গ্রামের কৃষক রহিম মোল্লার ছেলে। অপরদিকে কাবুল মোল্লা একই গ্রামের ছাদেক মোল্লার ছেলে ও বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি।
জানা গেছে, চলতি মাসের ১২ জানুয়ারি বোরো ক্ষেতে পানি দেওয়া নিয়ে কাবুল মোল্লার সাথে রুবেল মোল্লার কথা কাটাকাটি হয়। এই কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে কাবুল মোল্লা রুবেল মোল্লাকে পিটিয়ে আহত করে।
এ ঘটনার পর রুবেল মোল্লা স্থানীয় বাজারের এক পল্লী চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এরপর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রুবেল মোল্লার বুকে ব্যথা ও নাক মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলে পরিবারের লোকজন রুবেল মোল্লাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এনে ভর্তি করে। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দুই ঘণ্টা চিকিৎসা শেষে রুবেল মোল্লা মারা যায় বলে জানিয়েছেন তার চাচাতো ভাই রমজান মোল্লা।
তিনি বলেন, আমার চাচাতো ভাই রুবেলের কোনো রোগ ছিল না। ৬ মাস আগে সে বিয়ে করেছে। সামান্য ক্ষেতে পানি দেওয়ার অপরাধে যুবলীগ নেতা কাবুল মোল্লা আমার ভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। রুবেলের সদ্য বিবাহিত এই স্ত্রীর এখন কি হবে?
রুবেল মোল্লার বোন লাইজু খানম বলেন, আমার ভাই রুবেল মারা যাওয়ার পরের দিন কাবুলের স্ত্রী লিপি বেগম আমাদের বাড়িতে এসে আমার মা-বাবার কাছে মাফ চেয়েছে। এটা কি কোন সমাধান? আমরা আমাদের ভাই হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা কাবুল মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ধান ক্ষেতে পানি দেওয়া নিয়ে আমার সাথে রুবেল মোল্লার কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে আমি তাকে কোন মারধর করিনি।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ য বল গ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।