গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় যুবলীগ নেতা কাবুল মোল্লার (৪৫) বিরুদ্ধে রুবেল মোল্লা (২০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। যুবলীগ নেতার নির্যাতনে নিহত রুবেল মোল্লার পরিবারে বইছে এখন শোকের মাতম। স্বজনকে হারিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে রুবেলের পরিবারের সদস্যদের।

নিহত রুবেল মোল্লা উপজেলার বান্ধবাড়ি ইউনিয়নের মধুর নাগরা গ্রামের কৃষক রহিম মোল্লার ছেলে। অপরদিকে কাবুল মোল্লা একই গ্রামের ছাদেক মোল্লার ছেলে ও বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি।

জানা গেছে, চলতি মাসের ১২ জানুয়ারি বোরো ক্ষেতে পানি দেওয়া নিয়ে কাবুল মোল্লার সাথে রুবেল মোল্লার কথা কাটাকাটি হয়। এই কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে কাবুল মোল্লা রুবেল মোল্লাকে পিটিয়ে আহত করে।

এ ঘটনার পর রুবেল মোল্লা স্থানীয় বাজারের এক পল্লী চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এরপর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রুবেল মোল্লার বুকে ব্যথা ও নাক মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলে পরিবারের লোকজন রুবেল মোল্লাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এনে ভর্তি করে। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দুই ঘণ্টা চিকিৎসা শেষে রুবেল মোল্লা মারা যায় বলে জানিয়েছেন তার চাচাতো ভাই রমজান মোল্লা।

তিনি বলেন, আমার চাচাতো ভাই রুবেলের কোনো রোগ ছিল না। ৬ মাস আগে সে বিয়ে করেছে। সামান্য ক্ষেতে পানি দেওয়ার অপরাধে যুবলীগ নেতা কাবুল মোল্লা আমার ভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। রুবেলের সদ্য বিবাহিত এই স্ত্রীর এখন কি হবে?

রুবেল মোল্লার বোন লাইজু খানম বলেন, আমার ভাই রুবেল মারা যাওয়ার পরের দিন কাবুলের স্ত্রী লিপি বেগম আমাদের বাড়িতে এসে আমার মা-বাবার কাছে মাফ চেয়েছে। এটা কি কোন সমাধান? আমরা আমাদের ভাই হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা কাবুল মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ধান ক্ষেতে পানি দেওয়া নিয়ে আমার সাথে রুবেল মোল্লার কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে আমি তাকে কোন মারধর করিনি।

কোটালীপাড়া থানার ওসি মো.

আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ য বল গ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে গণধর্ষণের শিকার কিশোরী

কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বন্দরে (১৬) বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী অনলাইন ডেলিভারিম্যান বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) কিশোরীর মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার  (১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১ টায় পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়িস্থ জনৈক লক্ষি বাড়ি পিছনে ছাগল রাখার একচালা ঘরে ওই গনধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে।

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, তার মেয়ে অনলাইন ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করে। গত মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে রাত ১১ টার দিকে বন্দর চৌধুরী বাড়ি এলাকার কুতুবউদ্দিনের ছেলে টিপু সুলতান (২৬) একই এলাকার হাকিমের ছেলে সজিব হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুইজন মিলে নাসিম ওসমান মডেল স্কুল গেইটের সামনে থেকে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়।

পরে জনৈক লক্ষি বাড়ি পিছনে ছাগল রাখার একচালা ঘরে নিয়ে মুখ ও হাত পা বেঁধে জোর পূর্বক ভাবে ৪ নরপশু ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়  । 

বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগীর মা এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে দুই দিন আগে গত বুধবার অভিযুক্ত টিপু সুলতানকে অপহরণ করা হয়েছে বলে তার মা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ এ অভিযোগেরও তদন্ত করছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ