ফরিদপুর বাস টার্মিনালে রাখা সাদ পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুনে বাসের ভিতরের সম্পূর্ণ অংশ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে শহরের গোয়ালচামট নতুন বাস টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে।

সাদ পরিবহনের সুপারভাইজার গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, বুধবার রাতে মাগুরা থেকে ট্রিপ মেরে ফরিদপুরে আসি। পরে গাড়িতে তেল ভরে বাস টার্মিনালে এসে গাড়িটি পার্কিং করে রাখি। রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত ১টার দিকে গাড়ির মধ্যে আগুনের তাপ লাগায় হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়, তখন দেখি গাড়ির ভেতরের পিছনের অংশে আগুন জ্বলছে। তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে বেড়িয়ে শোর চিৎকার করলে অন্য গাড়ির লোকজন এগিয়ে আসে।

তিনি আরও বলেন, ওই সময়ই ৯৯৯ এ ফোন দিলে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গাড়ির পেছনের গ্লাস ভেঙ্গে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। গাড়িটির মালিক ফরিদপুর জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি কামরুজ্জামান ছিদ্দিকী কামরুল।

ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

আসাদউজ্জামান জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। গাড়িতে আগুন দেওয়ার বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ