কুমিল্লা ইপিজেডে সাংবাদিক লাঞ্ছিত
Published: 16th, January 2025 GMT
কুমিল্লায় এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (ইপিজেড) এ সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে এক সাংবাদিকের উপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে ইপিজেড আনসারকর্মীরা ও বেপজা সিকিউরিটি গার্ডদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরের কুমিল্লায় এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (ইপিজেড) ১নং গেইটের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে স্থায়ী কয়েক সংবাদ কর্মীরা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর ইপিজেডের এলাকাবাসীর আয়োজনে একটি মানববন্ধনের সংবাদ সংগ্রহ করতে সাংবাদিকরা ইপিজেড গেইটে গেলে সেখানকার দায়িত্বরত আনসারকর্মীরা সাংবাদিকদেরকে ঢুকতে বাধা দেন।
বেপজা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে গেলে তারা গণমাধ্যমকর্মীদের কোনো কথা না শুনেই তাদেরকে গায়ে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। এসময়, সোনালী নিউজের জেলা প্রতিনিধি মঈন নাসের খান রাফিকে ধাক্কা দিয়ে লাঞ্ছিত করে আনসারকর্মীরা। এসময় সাংবাদিক রাফির শরীরে আঘাত লাগে ও হাত কেটে রক্তাক্ত হয়ে যায়। সেখানে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সরেজমিনে উপস্থিত থাকা দৈনিক আমাদের কুমিল্লার রিপোর্টার জাহিদ হাসান নাইম বলেন, “আমরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য এসেছিলাম। ইপিজেড-এর ভিতর দিয়ে অন্য পাশের গেটে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু বেপজা সিকিউরিটি গার্ড ও আনসার কর্মীরা কোনো কথা না শুনেই উচ্চ বাক্য করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা সাংবাদিক রাফির গায়ে হাত তোলে। আমি এই ঘটনা তীব্র নিন্দা জানাই।”
চ্যানেল এস এর কুমিল্লা প্রতিনিধি রাজিব সাহা বলেন, “আমরা গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ সংগ্রহে যাব। সেখানে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন আছে এটা তো তারা আগে থেকেই অবগত। আনসার কর্মীরা সুন্দরভাবে বুঝিয়ে না বলেই শুরু থেকেই উচ্চ বাক্যে কথা বলে এবং গণমাধ্যম কর্মীদেরকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। এক পর্যায়ে সাংবাদিক রাফির গায়ে হাত তোলে। এটা তারা ঠিক করেনি আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।”
এদিকে এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা বেপজার নিবার্হী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহবুবকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/রুবেল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ম র গণম ধ আনস র
এছাড়াও পড়ুন:
হবিগঞ্জে হাজার কেজি পচা ছোলাবুট ফেলা হলো নদীতে
হবিগঞ্জে এক হাজার কেজি পচা ছোলাবুট জব্দ করা হয়েছে। পরে জব্দকৃত ছোলাবুট নদীতে ফেলে নষ্ট করা হয়। এসময় পচা পণ্য সংরক্ষণের অপরাধে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৯টার দিকে জেলা শহরের চৌধুরী বাজার এলাকায় এ অভিযান করেন জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে হবিগঞ্জ সদর আর্মি ক্যাম্পের সদস্য ও থানা পুলিশ ।
জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে হবিগঞ্জ সদর আর্মি ক্যাম্পের সদস্য ও থানা পুলিশের অভিযান
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সামিউর রহমান জানান- গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চৌধুরী বাজার এলাকায় বাদল রায়ের গুদামে অভিযান করা হয়। এসময় গুদামে পচা ১ হাজার কেজি ছোলাবুট পাওয়া যায়। পরে সেগুলো জব্দ করে নদীতে ফেলে ধ্বংস করা হয়। এসময় অভিযুক্ত শ্যামল দেবকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, আসন্ন রমজান মাসে ভাল ছোলাবুটের সাথে পচা বুট বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছিল। এছাড়াও বিভিন্ন গুদামে রক্ষিত পামওয়েল তেল মজুদ না রেখে দ্রুত বিক্রির জন্য বলা হয়।
অভিযানকালে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
হবিগঞ্জ সদর আর্মি ক্যাম্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাজারে পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা/মামুন/টিপু