সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানকালে সোয়া কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য ও গবাদি পশুর চালান জব্দ করেছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন বিভিন্ন বিওপির টহল দল অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য জব্দ করে।

৪৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জব্দকৃত ভারতীয় পণ্যের মধ্যে রয়েছে কমলা, চিনি, মহিষ, গরু, কিশমিশ, জিরা, সাবান ও মদ। জব্দকৃত পশু ও পণ্যের মূল্য প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারকালে রসুন ও শিং মাছ জব্দ করা হয়। 

সুনামগঞ্জের বাংলাবাজার, সোনালীচেলা এবং সিলেটের শ্রীপুর, পান্তুমাই ডিবিরহাওর, দমদমিয়া, উৎমা, বিছনাকান্দি, সংগ্রাম, তামাবিল, প্রতাপপুর ও সোনারহাট বিওপি টহল দল অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য ও পশু জব্দ করে।
 
বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.

কর্নেল হাফিজুর রহমান বলেন, সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবার প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এ কারণে প্রতিদিনই বিজিবির হাতে বিপুল চোরাই পণ্য জব্দ হচ্ছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ