ফরিদপুরের শীতার্ত দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে আজাদ। তার নির্দেশনায় ১০ দিনব্যাপী কম্বল বিতরণের এই আয়োজনের ষষ্ঠ দিন ফরিদপুর সদরের কৃষ্ণনগর ও চাঁদপুর ইউনিয়নে দিনব্যাপী চলে কম্বল বিতরণ। কৃষ্ণনগরের হাট গোবিন্দপুর হাইস্কুল মাঠ ও চাঁদপুর ইউনিয়নের বলের মাঠে দুই হাজার দুস্থ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয় শীতবস্ত্র।

শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক পিএলসির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির আওতায় চলমান রয়েছে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ। পর্যায়ক্রমে ফরিদপুর সদরের ১২টি ইউনিয়ন ও ফরিদপুর পৌর এলাকার ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ২০ হাজার কম্বল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এ কাজে সহায়তা করছে ফরিদপুরের পাঁচটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ও সমকাল সুহৃদ সমাবেশ। বাস্তবায়নকারী এনজিওগুলো হচ্ছে এফডিএ, বিএফএফ, একেকে, এসডিসি ও পিডব্লিউও।

ব্যাংকটির ফরিদপুর শাখার ম্যানেজার কেএম আনিসুর রহমানের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এফডিএর নির্বাহী পরিচালক মো.

আবু সাহের আলম, উপদেষ্টা আজাহারুল ইসলাম, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, এসডিসির নির্বাহী পরিচালক কাজী আশরাফুল হাসান, বিএফএফের নির্বাহী পরিচালক আ ন ম ফজলুল হাদী সাব্বির প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এ ক আজ দ ব তরণ

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে মুরগির টাকা নিয়ে বিরোধ, হামলায় ক্রেতা নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মুরগি বিক্রির বকেয়া টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় এক ক্রেতা নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিরঘোনা মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

নিহত দিলদার মিয়া (৪৮) টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিরঘোনা এলাকার আব্দুস সোবহানের ছেলে। তিনি মনিরঘোনা স্টেশনে মুরগির ব্যবসা করতেন।

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে আঞ্চলিক দলের মধ্যে গোলাগুলি, গৃহবধূ নিহত

গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত নারীর পরিচয় মিলেছে 

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, কিছুদিন আগে একই এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে আব্দুল হাকিম দিলদার মিয়ার দোকান থেকে বাকিতে মুরগি কেনেন। দিলদার মিয়া পাওনা টাকা আদায়ের জন্য কয়েকবার তাগাদা দিলেও আব্দুল হাকিম টাকা পরিশোধ করেননি।

সোমবার দুপুরে মনিরঘোনা মসজিদের সামনে আবারো পাওনা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দিলদার মিয়া ও আব্দুল হাকিমের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আব্দুল হাকিম ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন মিলে দিলদার মিয়াকে মারধর শুরু করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উখিয়ার পালংখালী স্টেশনের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আরো জানান, ঘটনার পর থেকে আব্দুল হাকিমসহ অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/তারেকুর/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ