ক্লার্কের ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে চট্টগ্রাম
Published: 16th, January 2025 GMT
সপ্তাহের শেষ দিন হলেও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে আজ ছিল তিল ধারণের জায়গা নেই। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে স্বাগতিক চিটাগং কিংসের ম্যাচ দেখতে দর্শকদের ঢল নেমেছিল স্টেডিয়ামে। আর তাদের হতাশ না করে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন কিংস ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্ক। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বিপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তার ঝোড়ো ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২০০ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে চট্টগ্রাম।
টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। উসমান খান দ্রুত ফিরে গেলেও দলের ইনিংসের হাল ধরেন গ্রাহাম ক্লার্ক। ব্যাটিংয়ে নেমেই আবু হায়দার রনিকে চার মেরে শুরু করেন তাণ্ডব। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মোহাম্মদ নওয়াজের স্পিনেও দেখিয়েছেন দক্ষতা। অভিষিক্ত মাহফুজুর রাব্বির এক ওভারে টানা তিন ছক্কা হাঁকিয়ে একাই সংগ্রহ করেন ২০ রান। পরের ওভারে সালমান ইরশাদকেও হাঁকান একটি চার ও একটি ছক্কা।
ক্লার্কের বিধ্বংসী ইনিংস থামে ১০১ রানে, সালমান ইরশাদের বলে আউট হওয়ার মাধ্যমে। এর আগে দ্বিতীয় উইকেটে পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে ৬৩ বলে ১২৮ রানের বড় জুটি গড়েন তিনি। চারটি চার এবং দুটি ছক্কায় মাত্র ২৬ বলে পঞ্চাশে পৌঁছান ক্লার্ক। আর তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান ৪৮ বলে। সেঞ্চুরির পথে তার ইনিংসে ছিল সাতটি চারের সঙ্গে ছয়টি বিশাল ছক্কা।
চলতি বিপিএলে এটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ক্লার্কের এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তার ধারাবাহিক ফর্মে চট্টগ্রাম পাচ্ছে বড় ভরসা। শেষ তিন ম্যাচে তিনি করেন ৬০, ৩৯ এবং ৪০ রান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।