লক্ষ্মীপুরে ৩ ট্রাফিক পুলিশকে মারধরের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১১
Published: 16th, January 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরের বাগবাড়ি এলাকায় অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চলাকালে সিএনজি চালকদের হামলায় তিন ট্রাফিক পুলিশ আহতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের পাঠানো হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফজলুল করিম।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ জানান, গতকাল বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কের শহরের বাগবাড়ি এলাকায় ফিটনেস ও লাইসেন্স বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাকালে ট্রাফিক পুলিশের উপর হামলা চালায় সিএনজি চালকরা। হামলায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক সবুজ মিয়া, ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল ঝুটন ভট্টাচার্য, টারজান বড়ুয়াসহ চার জন আহত হন।
এই ঘটনায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৭০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মহিউদ্দিন জুয়েল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে।
ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের সনাক্ত করছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান ওসি আব্দুল মোন্নাফ।
ঢাকা/লিটন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ