শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ ৯৯ শতাংশ শেষ: বেবিচক চেয়ারম্যান
Published: 16th, January 2025 GMT
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কাজ ৯৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া। বৃহস্পতিবার তৃতীয় টার্মিনালের অগ্রগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, টার্মিনালের সামনে এপ্রোনের কাজও শেষ। সেটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবহার করা হবে। দুই কর্নারে সিলিং এবং বোর্ডিং ব্রিজের কিছু কাজ বাকি রয়েছে, আগামী মার্চের মধ্যে এসব কাজ শেষ হবে। এ ছাড়া ভিভিআইপি রুমের কাজও ৬৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, যে কোনো মূল্য চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন করার পরিকল্পনা চলছে।
বিমান বাহিনীর দায়িত্ব পালন বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, জরুরি প্রয়োজনে তারা এসেছেন, প্রয়োজন শেষ হলে আবার তারা ফিরে যাবেন বাহিনীতে।
তিনি বলেন, বিমানবন্দর শুধু সিভিল এভিয়েশনের নয়, এ সম্পদ দেশের সকলের। সুতরাং এর সুনাম এবং রক্ষা করার দায়িত্ব দেশের সকল নাগরিকের। অতএব আন্তর্জাতিক মহলে এর সুনাম ক্ষুণ্ন হলে হলে দেশেরই ক্ষতি হবে।ৎ
সিলেট, কক্সবাজার, যশোর, বগুড়া, সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উন্নয়ন নিয়েও কথা বলেন বেবিচক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, বগুড়া বিমানবন্দর উন্নয়ন করে সেখানে বাণিজ্যিকভাবে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেবিচকের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর আবু সাঈদ মেহবুব খান, আবু সালেহ মোহাম্মাদ মহিউদ্দিন খা, এয়ার ট্রান্সপোর্ট ও ম্যানেজমেন্ট (এটিএম) এয়ার কমোডর কে এম জিয়াউল হক, নিরাপত্তা এয়ার কমোডর মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’