হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কাজ ৯৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া। বৃহস্পতিবার তৃতীয় টার্মিনালের অগ্রগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, টার্মিনালের সামনে এপ্রোনের কাজও শেষ। সেটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবহার করা হবে। দুই কর্নারে সিলিং এবং বোর্ডিং ব্রিজের কিছু কাজ বাকি রয়েছে, আগামী মার্চের মধ্যে এসব কাজ শেষ হবে। এ ছাড়া ভিভিআইপি রুমের কাজও ৬৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। 

তিনি বলেন, যে কোনো মূল্য চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন করার পরিকল্পনা চলছে। 

বিমান বাহিনীর দায়িত্ব পালন বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, জরুরি প্রয়োজনে তারা এসেছেন, প্রয়োজন শেষ হলে আবার তারা ফিরে যাবেন বাহিনীতে।  

তিনি বলেন, বিমানবন্দর শুধু সিভিল এভিয়েশনের নয়, এ সম্পদ দেশের সকলের। সুতরাং এর সুনাম এবং রক্ষা করার দায়িত্ব দেশের সকল নাগরিকের। অতএব আন্তর্জাতিক মহলে এর সুনাম ক্ষুণ্ন হলে হলে দেশেরই ক্ষতি হবে।ৎ
 
সিলেট, কক্সবাজার, যশোর, বগুড়া, সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উন্নয়ন নিয়েও কথা বলেন বেবিচক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, বগুড়া বিমানবন্দর উন্নয়ন করে সেখানে বাণিজ্যিকভাবে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
 
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেবিচকের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর আবু সাঈদ মেহবুব খান, আবু সালেহ মোহাম্মাদ মহিউদ্দিন খা, এয়ার ট্রান্সপোর্ট ও ম্যানেজমেন্ট (এটিএম) এয়ার কমোডর কে এম জিয়াউল হক, নিরাপত্তা এয়ার কমোডর মো.

নাইমুজ্জামান খান, এস এম লাভলুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘১৮ বছর বয়সে পালিয়ে বিয়ে করি, জীবন আলুথালু হয়ে গিয়েছিল’

কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সমতা দাস। ‘এক আকাশের নিচে’ টিভি ধারাবাহিকের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও। কিন্তু মাঝে তাকে সেভাবে টিভি পর্দায় দেখা যায়নি।  

‘চিরসখা’ শিরোনামে নতুন ধারাবাহিকের মাধ্যমে টিভি পর্দায় ফিরছেন সমতা। অভিনয়ে না থাকার কারণ হিসেবে সমতা দাস বলেন, “একই ধরনের চরিত্রে কাজের প্রস্তাব আসছিল। অবশেষে মনের মতো একটা চরিত্র পেয়েছি।”  

বুদ্ধদেব দাসগুপ্ত নির্মিত ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’ সিনেমা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে। এতে ‘লতি’ চরিত্রে অভিনয় করেন সমতা। তাছাড়া ‘এক মুঠো ছবি’, ‘হিরো’, ‘নাগরদোলা’ প্রভৃতি সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। তবে নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি এই অভিনেত্রী। 

আরো পড়ুন:

‘কাউকে চড় মারলে অসুবিধা নেই, চুমু খেলেই যত দোষ’

‘মেয়েরা ৬টা প্রেম করলে বেশ্যা, ছেলেরা করলে লোকে বলে— এলেম আছে’

এ বিষয়ে সমতা দাস বলেন, “১৮ বছর বয়সে পালিয়ে বিয়ে করি। পরিবারের কেউ সেই সময়ে মেনে নেয়নি আমার সম্পর্ক। যার ফলে ব্যক্তিগতজীবন আলুথালু হয়ে গিয়েছিল। নিজের ক্যারিয়ারে মন দিতে পারিনি।” 

খানিকটা ব্যাখ্যা করে সমতা দাস বলেন, “এতটাই সমস্যার মধ্যে ছিলাম, তখন নিজের ক্যারিয়ারে মন দেওয়া সম্ভভ হয়নি। তারপর যখন ফিরলাম তখন অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। চেহারাও সেভাবে ধরে রাখতে পারিনি। এটা হয়তো আমারই দোষ।” 

নায়িকা না হতে পারলেও আফসোস নেই সমতার। কারণ জীবনের কোনো সিদ্ধান্তে অখুশি নন। তিনি একটা সুন্দর সংসার পেয়েছেন। তাদের দু’বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। তাই কোনো কিছু নিয়ে আক্ষেপ করতে রাজি নন এই অভিনেত্রী।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ