এস আলম পরিবারের সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ
Published: 16th, January 2025 GMT
আলোচিত এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের উপ-পরিচালক (টিম লিডার) মো.
এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মীর আহাম্মদ আলী সালাম বলেছেন, “এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে এসব শেয়ারের সন্ধান পাওয়া যায়।”
আবেদনে বলা হয়, এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাসসহ অন্যান্য দেশে ১ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট শেয়ারের তথ্য পাওয়া যায়।
এসব শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ না দিলে অভিযোগ নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই বেহাত হওয়ারর আশঙ্কা আছে। এজন্য মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৪ ধারা মোতাবেক এসব শেয়ার অবরুদ্ধ করা একান্ত আবশ্যক।
গত মঙ্গলবার এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ২০০ কোটি টাকা দামের ১৬টি স্থাবর সম্পত্তি জব্দ এবং তাদের নামে থাকা ৮৭ টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত। এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর আদালত তাদের ১২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করেন। এসব হিসাবে ২২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা আছে।
ঢাকা/মামুন/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ য় র অবর দ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার।
এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে শিক্ষার্থীরা অনশনস্থল থেকে নিজ নিজ হলে ফিরে যান।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন।