ঝালকাঠির সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে। 

আহত শিক্ষার্থীরা হলো- অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মোসাম্মৎ জান্নাতী, ইসরাত জাহান রূমকী, নবম শ্রেণির জান্নাতী আক্তার, দশম শ্রেণির ছাত্রী সিপু আক্তার, আয়শা মনি ও সুমা বেগম। এরা বর্তমানে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্য এক শিক্ষার্থী একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের উপর হামলার চালিয়েছে এলাকাবাসী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বরিশাল শেরই-বাংলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঝালকাঠি সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

আহত শিক্ষার্থীরা জানান, বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে মোবাইল ফোন দিয়ে নাচের অনুশীলন করার সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসে তাদের পিটিয়ে আহত করে। তারা বুঝিয়ে বলার পরও পিটিয়ে আহত করে।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, গতকালকে ওই প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের সন্তানদের বেধড়ক মারধর করে আহত করেছে। আমরা এর বিচার চাই।

এদিকে পুলিশ ও প্রশাসন ওই প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে গাড়ির মধ্যেই পদত্যাগ করেন ওই শিক্ষক।

কর্তব্যরত ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সুলতানা সনিয়া বলেন, ‘ছয় শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে হাসপাতালে পর্যাবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, “ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/অলোক/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ