এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা: শুক্রবার সড়ক ব্যবহারে ডিএমপির নির্দেশনা
Published: 16th, January 2025 GMT
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার এ পরীক্ষা দেশের ১৯টি পরীক্ষাকেন্দ্রের একাধিক ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিন ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ঢাকার কিছু সড়কে যানবাহন চলাচল বাড়বে। পরীক্ষার দিন এসব সড়ক যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো.
এতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর এলাকার জনসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা একযোগে ১৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও একটি ডেন্টাল কলেজসহ মোট ১৯টি কেন্দ্রের নির্ধারিত স্থানে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় মোট ১৬টি ভেন্যুতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াতের সড়কে বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েট সংলগ্ন সড়ক, বেইলি রোড, মগবাজার-কাকরাইল সড়ক, নিউমার্কেট-আজিমপুর সড়ক, রোকেয়া সরণি, মিরপুর বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ সংলগ্ন সড়কে গাড়ির আধিক্য হবে। তাই জনসাধারণকে এসব সড়ক যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে অনুরোধ করেছে ডিএমপি।
ঢাকা মহানগরের ১৬টি ভেন্যুর মধ্যে রয়েছে: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন, বাণিজ্য অনুষদ ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস), ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ (বুয়েট ক্যাম্পাস), বেগম বদরুন্নেছা সরকারি কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ (নিউ বেইলি রোড), সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ (নিউ বেইলি রোড), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আগারগাঁও), ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ (আগারগাঁও), সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ (মিরপুর) এবং সরকারি তিতুমীর কলেজে (মহাখালী)।
এবার আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৬১টি। কোটাসহ মেডিকেলে মোট আসন ৫ হাজার ৩৮০টি। এই হিসাবে এ বছর ১টি আসনের জন্য ২৫ জন (২৫ দশমিক ১৪) পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
ঢাকা/মাকসুদ/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ড ক ল কল জ পর ক ষ সরক র ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
পুরস্কারের তালিকা থেকে বাদ পড়ায় বাংলা একাডেমিকে ধন্যবাদ লেখকের
বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কারের সংশোধিত তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ায় বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন লেখক-গবেষক ড. মোহাম্মদ হাননান। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
গত ২৩ জানুয়ারি ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৫ জানুয়ারি তালিকাটি স্থগিত করা করে বুধবার সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তিনজনের নাম বাদ পড়েছে। পূর্বের তালিকায় মোহাম্মদ হাননানকে মুক্তিযুদ্ধ, কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদকে কথাসাহিত্য এবং ফারুক নওয়াজকে শিশুসাহিত্যে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। এরমধ্যে সেলিম মোরশেদ পুরস্কারে মনোনীতদের তালিকা স্থগিতের পর পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিবৃতিতে ড. হাননান বলেন, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ প্রাপ্তির তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দেওয়ায় আমি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
কারো প্রতি অভিযোগ নেই উল্লেখ করে লেখক আরও উল্লেখ করেন, ‘দীর্ঘসময় ধরে লিখলেও রাষ্ট্রীয় কোনো পুরস্কারের জন্য মনোনীত হইনি, গত ১৬ বছরেও না। এ বছর আমার জন্য ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’ ঘোষণার পর আমার নাম বাদ দেওয়ায় আমি যে দলহীন, গোত্রহীন একজন লেখক তা প্রমাণিত হয়েছে। আমি এজন্য স্বস্তি অনুভব করছি। আমার নাম বাদ দেওয়ায় কোনো খেদ নেই, অভিযোগ নেই। তবু সবাই শান্ত থাকুক।’
তিনি বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে লেখালেখি করছি। ‘বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস’ নামক গ্রন্থের ১৪টি খণ্ডসহ আমার মোট গবেষণা গ্রন্থের সংখ্যা ৫৮টি, শিশু-কিশোর সাহিত্য ২০টিসহ সম্পাদিত ও অন্যান্য গ্রন্থ মিলে আমার প্রকাশনা সংখ্যা এখন ১৩৪টি।
তিনি আরো লিখেছেন, ১৯৯১ সালে আমার লেখা ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আরও কাজ করি। ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয় ‘বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক গ্রন্থ। তথ্যগুলো দিলাম এ জন্য যে, আমার সম্পর্কে মানুষ খুব কমই জানে।