বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, “এই বাংলাদেশে হয় ফ্যাসিবাদ থাকবে, নাহয় আমরা থাকব। বাংলাদেশে হয় আওয়ামী লীগ থাকবে, নাহয় আমরা থাকব। আওয়ামী লীগকে যদি আবার পুনর্বাসন করতে হয়, তাহলে আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে করতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) কুমিল্লার দেবিদ্বারে আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “মনে রাখবেন, আওয়ামী লীগকে যারা পুনর্বাসন করেছে, ক্ষমতায় এসে তাদেরই হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। সুতরাং, আপনারা যারা ভাবছেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করবেন এবং পুনর্বাসিত আওয়ামী লীগ আপনাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করবে, আপনারা সেটা ভুল ভাবছেন। মনে রাখবেন, গর্দান এবং তলোয়ার কখনও একসঙ্গে থাকতে পারে না।”

“যারা ভোটের রাজনীতির জন্য আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের তৎপরতা চালাচ্ছেন, আপনারা জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে বেঈমানি করছেন। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের বিষয় না এনে, আওয়ামী লীগ যে ১৬ বছর অত্যাচার-নির্যাতন করেছে, তার বিচারের দাবি তুলুন। আল্লাহর কসম করে বলছি, আপনারা যদি বিচারের জন্য আওয়াজ তোলেন, আমরা আবার আপনাদের সঙ্গে রাস্তায় নামব। এই ফ্যাসিবাদ-জুলুম যারা কায়েম করেছে, তাদের পক্ষে যদি আপনারা দাঁড়ান, তাহলে সেটি হচ্ছে মজলুমের বিপক্ষে। আমরা শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও এ ফ্যাসিবাদকে ঠেকাব,” বলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এই নেতা।

তিনি আরও বলেন, “এতগুলো ছেলে রাস্তায় প্রাণ দিয়েছে। বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলের অবদান আমরা স্বীকার করি। দীর্ঘ ১৬ বছর আপনারা নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্যে দিয়ে গেছেন। আপনারা বাসার মধ্যে ভাতটা ঠিকমতো খেতে পারেননি। মামলার ভয়ে এই বাড়ি, ওই বাড়িতে থাকতে হয়েছে। ভালো একটা পোশাক পরতে পারেননি। ৬০-৭০টা মামলায় সপ্তাহে পাঁচ দিন হাজিরা দিতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের এসব অত্যাচার আপনারা কীভাবে এত সহজে ভুলে গেলেন!”

ইতিবাচক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, “এখানে সকলের অংশগ্রহণ থাকবে। সেই বাংলাদেশ করার জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করব। সেখানে কোনো বিভাজন থাকবে না। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।”

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ধামতী দরবার শরিফের পীর আলহাজ বাহাউদ্দীন আহমাদ। এতে দেবিদ্বারের বিভিন্ন এলাকার আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।

ঢাকা/রুবেল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

শাবিপ্রবির সাংগঠনিক সপ্তাহে নবীনদের উচ্ছ্বাস

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) চলছে সাংগঠনিক সপ্তাহ। সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর টেন্টে জমেছে নবীনদের ভিড়। নিজেদের প্রতিভা বিকাশ ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত নবীন শিক্ষার্থীরা।

গত ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ সাংগঠনিক সপ্তাহের মূল কার্যক্রম শুরু হয় ২৬ জানুয়ারি থেকে। এবারের আয়োজনের বিশেষত্ব হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডে ৩৭টি সংগঠন একসঙ্গে অংশগ্রহণ করছে, যেখানে আগে অর্জুন তলায় দুই সপ্তাহে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে এ কার্যক্রম পরিচালিত হতো।

এ আয়োজনকে ঘিরে ক্যাম্পাস জুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিভিন্ন সংগঠনের টেন্ট ঘুরে শিক্ষার্থীরা নিজেদের আগ্রহ অনুযায়ী সদস্য হতে ফর্ম সংগ্রহ করছেন। কেউ সংগীত, কেউবা বিতর্ক বা ফটোগ্রাফি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।

বাংলা বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী তানভীর বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বুঝলাম, পড়াশোনার বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে। আমি ফটোগ্রাফি ও বিতর্ক নিয়ে কাজ করতে চাই। তাই এ দুই সংগঠনে সদস্যপদ নিতে ফর্ম নিয়েছি।”

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া জাহান বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলাম। এখানে এসে দেখলাম, অনেক সংগঠন সাংস্কৃতিক চর্চা করে। গানের প্রতি ভালোবাসা থেকেই একটি সংগঠনে সদস্য হয়েছি। পাশাপাশি, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনেও যোগ দিয়েছি, যাতে মানুষের জন্য কিছু করতে পারি।”

সরেজমিনে দেখা যায়, সংগঠনগুলোর সদস্যরাও ব্যস্ত সময় পার করছে। কেউ নতুনদের ক্যাম্পাস ও সংগঠনের নিয়ম জানাচ্ছে, কেউ সাংগঠনিক কার্যক্রমের বিবরণ দিচ্ছে। বিভিন্ন সংগঠন ব্লাড গ্রুপিং, ফটোগ্রাফি ওয়ার্কশপসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যারা জানিয়েছেন, সাংগঠনিক সপ্তাহ শুধু সদস্য সংগ্রহের অনুষ্ঠান নয়, এটি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশেরও বড় সুযোগ। নতুনদের উচ্ছ্বাস ও অংশগ্রহণই প্রমাণ করে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলোর অংশ হতে কতটা আগ্রহী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, “আগের বছরগুলোর মতো আলাদা ধাপে সাংগঠনিক সপ্তাহ না করে এবার একসঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে। যাতে সব সংগঠন সমানভাবে সদস্য সংগ্রহের সুযোগ পায় এবং নবীন শিক্ষার্থীরাও একসঙ্গে সব ক্লাবের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে।”

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপমান অপদস্থের কথা বলতে গিয়ে কাঁদলেন সাবিনা-ঋতুপর্ণারা
  • নিশোর দাগীতে কি তৌসিফ আছেন, জানা গেল একসঙ্গে ছবির রহস্য!
  • শাবিপ্রবির সাংগঠনিক সপ্তাহে নবীনদের উচ্ছ্বাস