হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মোড়াকরি বাজারে পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এসব তথ্য দেন লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বন্দে আলী। 

এর আগে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে একটি ধোপার দোকান, তিনটি ফার্মেসি ও একটি টেলিকমের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, মধ্যরাতে মোড়াকরি বাজারে হাফেজ কুতুব মিয়ার মার্কেটে থাকা একটি ধোপার দোকানে আগুন লাগে। পরে পাশের নোমান মিয়ার ফার্মেসি, কাজল দাশের ফার্মেসি, অনিক ফালের ফার্মেসি ও রাজ্জাক মিয়ার স্টুডিওতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাজারের পাশে বলভদ্র নদী ও পুকুর থেকে পানি এনে প্রায় আধাঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। রাত ১টার দিকে হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ততক্ষণে দোকানগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

বন্দে আলী জানান, আগুনে পাঁচটি দোকান পুরোপুরিভাবে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া আরও আটটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির ২০ লাখ টাকারও বেশি হবে। 

তিনি বলেন, “কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

ঢাকা/মামুন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ