নিজের শহরে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে দারুণ এক ফিফটি হাঁকিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন তামিম ইকবাল। পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। কিন্তু পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ম্যাচসেরার পুরস্কার ও অধিনায়কত্বের দায়িত্বের কাজ সামলে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

শান্ত কেন পুরস্কার নিয়েছেন সেই উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের আসতে দেরি হওয়ায় তামিম ড্রেসিংরুমে উঠে যান। সেখানে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে রাইজিংবিডি নিশ্চিত হয়েছে, বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আসতে দেরি করায় তামিম অপেক্ষা করতে চাননি। শান্তকে ড্রেসিংরুম থেকে পাঠান তার প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নিতে। এ নিয়ে অবশ্য আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য কারও কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।

তামিম ম্যাচ শেষে লম্বা সময় মাঠে কাটিয়েছেন। ছেলে আরহাম ইকবাল আজ বাবার খেলা দেখেছেন মাঠে বসে। বাবা জিতেছেন, ফিফটি করেছেন তাতে দারুণ খুশি আরহাম। ছেলেকে নিয়ে তামিম মাঠে ঘুরেছেন। ঢাকা ক্যাপিটালসের খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমানদের সঙ্গে তুলেছেন ছবি। এরপর ড্রেসিংরুমে উঠে যান।

আরো পড়ুন:

‘সোনার ডিম পাড়া হাঁস’ নাহিদ নিজের প্রতি যত্নশীল

ঢাকাকে তলানিতে ঠেলে দুইয়ে বরিশাল

পরবর্তীতে পুরস্কার বিতরণী পর্ব শেষে বেরিয়ে মাঠের উল্টো দিকে সংবাদ সম্মেলনে আসেন। সেখানে এসব নিয়ে কোনো প্রশ্ন হয়নি। তাই তামিমের কথাও জানা যায়নি। ফিফটি করে ছেলের মুখে হাসি ফোটানোয় খুশি তামিম, ‘‘ও ঢাকা থেকে আসছে খেলা দেখার জন্য। ও হ্যাপি যে, ও একটা ভালো খেলা দেখতে পেরেছে।’’

ঢাকার দেওয়া ১৪০ রানের লক্ষ্য তামিমরা ছুঁয়ে ফেলে ৮ উইকেট হাতে রেখে, ১৬ ওভারে। সহজে জিতেও তামিমের কিছুটা আক্ষেপ থেকে গেছে, ‘‘আমার কাছে মনে হয় আমাদের মাঝে আরেকটু দ্রুত খেলা দরকার ছিল। তাহলে হয়তবা.

. ১৪ ওভারের মধ্যে যদি শেষ করতে পারতাম, আমাদের হাতে উইকেট ছিল। আমার কাছে মনে হয় এই একটা ট্রিক আমরা মিস করেছি। বাকিটা বলতে গেলে ব্যাটিংটা ঠিক আছে।’’

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ-ভুটানের বাণিজ্য আরো সহজ করার আহ্বান

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া আরো সহজ করার আহ্বান জানিয়েছেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা। সরবরাহ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন তারা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভুটানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের আলোচনা সভা হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্যের অনাবিষ্কৃত খাতগুলো নিয়ে আলোচনা করেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।

দুই দেশের ব্যবসায়ীরা, ফল, সবজি, মসলাসহ বেশকিছু কৃষিপণ্যের বাণিজ্য সম্প্রসারণের সম্ভাবনা দেখছেন। তারা উভয় দেশের মধ্যে অংশীদারত্ব এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক আরো এগিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

ভুটানের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন রিজিওনাল অ্যাগ্রিকালচারাল মার্কেটিং অ্যান্ড কো-অপারেটিভ অফিসের (রেমকো) রিজিওনাল ডিরেক্টর দাওয়া ডাকপা। এ সময় এফবিসিসিআইর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের প্রধান মো. জাফর ইকবাল ও ঢাকাস্থ ভুটান দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর (বাণিজ্য) দাওয়া শেরিং উপস্থিত ছিলেন।

আরো উপস্থিত ছিলেন—এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক হাজী মো. এনায়েতউল্লাহ, ফেরদৌসী বেগম, বাংলাদেশ অ্যাগ্রো ফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ এম আমিরুল ইসলাম ভূইয়াঁ, এফবিসিসিআইর সাধারণ পরিষদের সদস্য মো. জাকির হোসেন, শেখ আল মামুন এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী।

ঢাকা/এনএফ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ