মাঠে থেকেও তামিমের পুরস্কার কেন নিলেন শান্ত?
Published: 16th, January 2025 GMT
নিজের শহরে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে দারুণ এক ফিফটি হাঁকিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন তামিম ইকবাল। পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। কিন্তু পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ম্যাচসেরার পুরস্কার ও অধিনায়কত্বের দায়িত্বের কাজ সামলে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
শান্ত কেন পুরস্কার নিয়েছেন সেই উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের আসতে দেরি হওয়ায় তামিম ড্রেসিংরুমে উঠে যান। সেখানে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে রাইজিংবিডি নিশ্চিত হয়েছে, বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আসতে দেরি করায় তামিম অপেক্ষা করতে চাননি। শান্তকে ড্রেসিংরুম থেকে পাঠান তার প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নিতে। এ নিয়ে অবশ্য আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য কারও কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
তামিম ম্যাচ শেষে লম্বা সময় মাঠে কাটিয়েছেন। ছেলে আরহাম ইকবাল আজ বাবার খেলা দেখেছেন মাঠে বসে। বাবা জিতেছেন, ফিফটি করেছেন তাতে দারুণ খুশি আরহাম। ছেলেকে নিয়ে তামিম মাঠে ঘুরেছেন। ঢাকা ক্যাপিটালসের খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমানদের সঙ্গে তুলেছেন ছবি। এরপর ড্রেসিংরুমে উঠে যান।
আরো পড়ুন:
‘সোনার ডিম পাড়া হাঁস’ নাহিদ নিজের প্রতি যত্নশীল
ঢাকাকে তলানিতে ঠেলে দুইয়ে বরিশাল
পরবর্তীতে পুরস্কার বিতরণী পর্ব শেষে বেরিয়ে মাঠের উল্টো দিকে সংবাদ সম্মেলনে আসেন। সেখানে এসব নিয়ে কোনো প্রশ্ন হয়নি। তাই তামিমের কথাও জানা যায়নি। ফিফটি করে ছেলের মুখে হাসি ফোটানোয় খুশি তামিম, ‘‘ও ঢাকা থেকে আসছে খেলা দেখার জন্য। ও হ্যাপি যে, ও একটা ভালো খেলা দেখতে পেরেছে।’’
ঢাকার দেওয়া ১৪০ রানের লক্ষ্য তামিমরা ছুঁয়ে ফেলে ৮ উইকেট হাতে রেখে, ১৬ ওভারে। সহজে জিতেও তামিমের কিছুটা আক্ষেপ থেকে গেছে, ‘‘আমার কাছে মনে হয় আমাদের মাঝে আরেকটু দ্রুত খেলা দরকার ছিল। তাহলে হয়তবা.
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’