ভারতের ভিসা না পেয়ে যা বললেন পরীমণি
Published: 16th, January 2025 GMT
বাংলাদেশে জুলাই মাসের পর থেকে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের বদল ঘটেছে। যদিও দুই দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অবাধ বিচরণ এখনও অব্যাহত। তবে ভিসা জটিলতায় পড়েছেন দুই দেশের অনেক শিল্পী।
চঞ্চল চৌধুরীর পর জিয়াউল ফারুক অপূর্ব’র ক্ষেত্রে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। এবার পরীমণির ক্ষেত্রেও তাই হল। নিজেই আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সে কথা জানিয়েছেন।
পরীমণি লিখেছেন, ‘আগামীকাল ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ এ কলকাতায় আমার সিনেমা ‘ফেলুবক্সি’ রিলিজ হবে! আমার কাছে এই প্রথমটা একটু অন্যরকম স্পেশাল। কারণ, এটা আমার কলকাতার প্রথম ছবি। ছবি রিলিজ তো নিশ্চয়ই অনেক আনন্দের মুহূর্ত, কিন্তু মন খারাপ হচ্ছে ভীষণ রকম। ভিসা টা হলো নাহ! খুব মিস করছি আমার ফেলুবক্সি টিমের সবাই কে। কান্না পাচ্ছে আমার।’
পরী আরও লিখেছেন, ‘ডানা কাটা পরী বলেই আজ উড়ে যেতে পারি না। যাই হোক, কলকাতা আমি যেতে পারিনি কিন্তু ফেলুবক্সির লাবণ্য’কে কলকাতার সবাই দেখতে পাবেন আগামীকাল আপনার কাছের সিনেমা হলে। আমি আপনাদের ভালোবাসা পাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম। প্রিয় কলকাতা ভালোবাসা নিও।’
‘ফেলুবক্সী’ সিনেমায় লাবণ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরীমণি। এ সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। আরো আছেন কলকাতার অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। দেবরাজ সিনহা পরিচালিত থ্রিলারধর্মী এ সিনেমার শুটিং হয়েছে গত বছরের এপ্রিলে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কলক ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’